এ সময় জেলা প্রশাসক জিহাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে। বাবা-মার মুখ যাতে আরো উজ্জ্বল হয় সে রকম কাজ করবে। মেডিকেলের পড়ালেখা শেষ করে দেশের অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবে।
নগদ আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে জিহাদ বলেন, আমি জেলা প্রশাসক স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শালমারা নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম বলেন, আজ ডিসি স্যার জিহাদকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করলো যা ওর জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। ও যাতে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে সেই দোয়া করি।
১ এপ্রিল দেশব্যাপী ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৪৯ হাজার শিক্ষার্থী। ৫ এপ্রিল প্রকাশিত ফলে ৪ হাজার ৩৫০ জন উত্তীর্ণ হয়। মেধা তালিকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় জিহাদ। জিহাদ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ২৮২.৫ এবং মেধা তালিকায় তার স্থান ৩৭০তম।
জিহাদ বালিয়াকান্দির শালমারা নিশ্চিন্তপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক মো. আজগর আলী মন্ডলের বড় ছেলে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় জিহাদ উচ্চ মাধ্যমিককে ঢাকার একটি দামি কলেজে ভর্তি হওয়ার চান্স পেয়েও টাকার অভাবে আর সে ওখানে ভর্তি হতে পারেনি। পরে ফিরে আসে গ্রামে।