শাহনাজ প্রধান
২০১৮ সাল কেন?
অাসুক যত সাল সে সালে ও তুমি অামার,
সৃষ্টির শুরু থেকেই তুমি অামার
যখন অামি অাসিনি ধরণীর বুকে
তখন ও তুমি ছিলে অামার।
স্রষ্টার সৃষ্টি অামি হয়েছি শুধু তোমার হতে।
অনাদিকাল দুজন দুজনার হতে।
অামি বন্দনা করেছি তোমার,
বন্দনা করে যাবো যতদিন দেহে থাকবে প্রাণ,
পৃথিবী থেকে বিদায়ের পরেও
অাত্মায় থেকে যাবে তোমার নাম।
পুষ্প রতি দিয়ে ডাকিনি তোমায়
ডেকেছি অন্তরাত্মা দিয়ে।
কতদিন দেখিনা তোমায়!
তবু তোমায় স্মরিয়া অাছি অামি,
অামি নইতো কোন ঋতুর সন্যাসী
অনন্তকালের সঙ্গিনী অামি তোমারই।
অামি তোমার প্রেম তরী
ভালবাসার মনোহারিণী,
অামার চেতনায় বসতি তোমার
তোমার থেকেই যে সৃষ্ট অামার।
তোমার সত্ত্বাকে দূরে সরিয়ে
অাজ কোথায় গেলে?!
দিও না কোন বাহানা
কোন ঘূর্ণি রুখতে পারবে না অামায়,
অনাদি কাল শুধু তুমি অামার।
পৃথিবী ধ্বংসের দিন বিলীন হবে
অশেষ অাকাশ,সাগর,নদী।
বিলীন হবে না অামাদের প্রেম
স্রষ্টা অামাদের করেছেন যে অনন্ত যুগল।
অাজ এ মাঘের রিক্ততায় বসে
ভাবছি প্রিয়তম তোমাকে,
ব্যথায় জর্জরিত অামি তোমার বিরহে।
পড়েছো তুমি কোন দূর্বিপাকে?!
কোন শ্বাপদ অাটকে রেখেছে তোমায়?!
কোন রাহু ধরেছে তোমায়?!
সূর্য্যের হৃদপিন্ড তোমার
চলে অাসতে হবে না কারো অলখে তোমার,
সকলের সম্মুখ দিয়ে
অাসো তুমি জলন্ত অাগুন হয়ে,
স্রষ্টা অাছেন যে অামাদের সাথে।
নিরবতাকে ছুঁড়ে ফেলো
রণে-ক্লান্ত হয়ো না যেনো,
বীর সেনানী তুমি
ভাষা হারা কেন তুমি?!
স্বপ্নহারা হয়োনা যেনো,
স্বপ্নকে সত্যি করিতে
স্বপ্নচারীণী অাছে যে পাশে।
রঙের খাঁচায় তোমায় পুরব না,
জীবন খাতা তুমি অামার
স্রষ্টার সৃষ্টির শুরু থেকেই অামরা দুজন দুজনার।
কঠিন পরীক্ষায় অাজ অামরা দুজন,
অন্ধকারের অট্রহাসিতে
ভয় পেয়োনা যেনো।
লিখব অামি অাগুন দিয়ে
বীরের জয়ের কাহিনী।
বীরকন্যা লিখে দিবে
তোমার জয়ের অধ্যায়গুলি।
জগত জুড়ে রয়ে যাবে
অামাদের প্রেম কাহিনী।
তোমার সৃষ্টি অামার হতে
অামার সৃষ্টি তোমার হতে
তাইতো অনাদিকাল অামরা রইবো
শুধু দুজন দুজনার হয়ে।