ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গতকাল কিয়েভের একটি শপিং মল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এতে ছয় জন নিহত হয়েছে। হামলার পর সেখানে ইউক্রেনীয় সেনা মোতায়েন করা হয়।
রাতভর হামলা হয়েছে আবাসিক এলাকাতেও রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ প্রায় প্রতিটি শহরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দোনেৎস্ক অঞ্চলে অবস্থিত বন্দরনগরী মরিপোলে ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানি অন্য সব শহরকে ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৬ দিনের যুদ্ধে রুশ বাহিনীর একের পর এক হামলায় সাজানোগোছানো এই শহরটি এখন যেন মৃত্যুপুরী। প্রতিদিনই মুহুর্মুহ বোমা এসে পড়ছে বিভিন্ন জায়গায়, মারা যাচ্ছে মানুষ।
তারা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্য সুযোগসুবিধা বিচ্ছিন্ন আছেন। শহরে মারাত্মক খাদ্যেরও সংকট চলছে। এমন অবস্থায় গত রবিবার রাতে রাশিয়ার পক্ষ থেকে লড়াইরত ইউক্রেনীয় সেনা এবং মরিপোল নগর সরকারকে গতকাল সোমবার মস্কো সময় ভোর পাঁচটার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানানো হয়।
পরিবর্তে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দা এবং সৈন্যদের দুটো নিরাপদ করিডোর দিয়ে চলে যাওয়ার। কিন্তু মরিপোল কর্তৃপক্ষ এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। ফলে অবরুদ্ধদের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে শঙ্কিত সবাই।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আত্মসমর্পণ না করলে রুশ সৈন্যরা কী করবে তা এখনো স্পষ্ট করেনি মস্কো। মরিপোলের মানবিক পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে শহরের এমপি ইয়ারোস্লাভ জেলেজনিয়াক বলেন, তার শহর এখন কার্যত পৃথিবীর বুকে নরক। পুরো শহরটি ঘিরে রয়েছে রুশ সৈন্যরা। বিদ্যুৎ নেই, পানি সরবরাহ নেই। খাবার এবং ওষুধের মজুদ খুবই কম।
এদিকে চলমান যুদ্ধ নিরসনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইসরায়েলের সাহায্য কামনা করেছেন। গতকাল এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, অর্থবহ আলোচনার উপায় খুঁজতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত। আমরা তার এমন প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞ। যেন আমরা শিগগিরই বা পরে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারি, সেটি সম্ভবত জেরুজালেমে।
অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্টের ক্রেমলিন দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এমন সব দাবি তুলে ধরা হচ্ছে, যেগুলো রাশিয়ার কাছে অগ্রহণযোগ্য। এগুলো করে কার্যত শান্তি আলোচনা আটকে দিচ্ছে কিয়েভ।