রাজবাড়ীর পাংশার পাট্ট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস ও তার সহোযোগীরা এক প্রবাসীকে বসার চেয়ার ও লোহার রড দিয়ে মারধর করেছে। এতে প্রবাসী সহিদ প্রমানিক গুরুতর জখম হয় এবং তার একটি হাত ভেঙ্গে যায়। প্রবাসী সহিদ প্রমানিক বর্তমান পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্রস এ চিকিৎসা গ্রহন করছেন।
প্রবাসী সহিদ প্রমানিক বলেন, আমার প্রতিবেশী সন্তোষ মন্ডল ১৬/০১/২১ শনিবার আনুমানিক সকাল ৮ টার সময়, ‘কথা আছে’ বলে তার পুকুর চালায় ডেকে নিয়ে যায়। তিনি পুকুর চালায় আমার আগেই উপস্থিত ছিলো এবং আমাকে হুমকি ধামকি দেয়। যার কারনে আমার সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। তারা বলে তুই আমার সাথে তর্ক করিস তোর ছেলের আর তোর কথা বার্তা ভালো নয়। তার পর এক পর্যায়ে পাট্টা ইউনিয়নের চেয়াম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস প্রথমে বসার চেয়ার দিয়ে আমাকে বাড়ি মারে আর বলে তুই জোনাবের লোক এবং আমি পড়ে যাই।
তারপর আমাকে বাড়ি দিয়ে চেয়ারগুলো ভেঙ্গে ফেলে। এক সহোযোগী মটরসাইকেল থেকে রড এনে আমাকে এলোপাতারি বাড়ি দিতে থাকে। এতে আমি রক্তাত্য হই এবং আমার একটি হাত বাড়ি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। তারপর আমাকে দুইটা পিস্তল দেখিয়ে অনেক ভয়ভীতি দেখায়।তোকে মেরে ফেলবো তোকে শেষ করে দেব,তুই তো জোনাবের লোক তোকে মেরে ফেলবো।
এ বিষয়ে প্রবাসী সহিদ প্রমানিক চেয়ারম্যান মুনা বিশ্বাসসহ ৩ জন আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলা সম্পর্কে চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা বলেন নাই।
এই মুনা চেয়াম্যানের নামে থানায় একাধিক জিডি অন্তরভুক্ত আছে সে সব সময় মানুকে মারধোর করে হত্যার হুমকি দেয়। এ মামলা সর্ম্পকে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ সাহাদত হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়,থানায় মামলা রজু হয়েছে আসামিদের ধরতে জোর তৎপরতা চলছে।