নতুন বছরের প্রথম অধিবেশন বা শীতকালীন অধিবেশন সোমবার শুরু হবে। একাদশ জাতীয় সংসদের ১০ম অধিবেশন গত ২০ নভেম্বর মূলতবি করা হয়। ৫৯ দিন পর ১১তম অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। বর্তমান সংসদের একাদশ অধিবেশন গত ৩০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আহ্বান করেন যা বিকেল সাড়ে ৪টায় শের-ই-বাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে শুরু হবে।
নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বক্তব্য দেবেন। গত ২১ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ভাষণটি মূলত দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা; দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিতে সরকারের পদক্ষেপও সাফল্য; ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন এবং ভিশন ২০৪১ গঠনের জন্য বিভিন্ন খাতে গৃহীত কার্যক্রম ও কর্মসূচি; স্থানীয় ও বিদেশি কর্মসংস্থান; এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়তে বিভিন্ন আইসিটি সম্পর্কিত উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের বাস্তবায়নসহ ১০টি বিষয়ে ফোকাস করবে।
অন্য পাঁচটি বিষয় হলো সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াতে অগ্রগতি, বৈদেশিক সম্পর্ক সম্পর্কিত সাফল্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষ উদযাপন এবং এর জন্য গৃহীত কর্মসূচি, এবং প্রশাসনিক নীতি, কৌশল, উন্নয়ন দর্শন ও অগ্রগতির জন্য নির্দেশিকা।
সংসদ সচিবালয়ের এক নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৭২ (১) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১১তম অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
সংবিধান অনুসারে, এক অধিবেশন শেষে এবং পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবসের মধ্যবর্তী ব্যবধান ৬০ দিনের বেশি হবে না। অধিবেশন চলাকালীন সংসদ ভবনে জনসমাগম এড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও অতি প্রয়োজনীয় ব্যক্তিরা ছাড়া সংসদ সচিবালয়ের সকল কর্মচারীকে অধিবেশন চলাকালীন উপস্থিত না থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সংসদ ভবনে প্রবেশের স্থানে তাপমাত্রা মাপা হবে। এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে গত ৮ নভেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়ে চলে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্যও দেন।