কলেজ শিক্ষার্থী সাজিদুর রহমান (সিফাত) হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারে জোর পুলিশী অভিযান অব্যাহত রেখেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ । নিহত সিফাত কাচারীপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম প্রামানিকের ছেলে।
মামলার তদন্ত-কর্মকর্তা এস.আই মিজানুর রহমান গতকাল ১৬ই জানুয়ারী দুপুরে হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং মামলার বাদীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেন এবং সেই সাথে (সিফাত) যে মোটর সাইকেলটি চালাচ্ছিলেন সেটিসহ মামলার আলামত সংগ্রহ করেন ।
এসআই মিজানুর রহমান বলেন, সুষ্ঠভাবে মামলার তদন্ত-কার্যক্রম পরিচালনাসহ আসামীদের গ্রেফতারে যখন যা করার দরকার তা করা হচ্ছে, কাজের কোন গাফিলতি নাই। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান ২ জন আসামী,১নং আসামী সেলিম প্রামানিক (৩৬) ২নং আসামী হেলাল প্রামানিককে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সেলিম কাচারীপাড়া গ্রামের মোঃ ওয়াজেদ আলী প্রামানিকের ছেলে এবং আসামী হেলাল প্রামানিক একই গ্রামের মোঃ সোবাহান প্রামানিকের ছেলে।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলার ৬ঘন্টার মধ্যে এজাহারভুক্ত প্রধান ২জন আসামী সেলিম ও হেলালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে পুলিশের টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ই জানুয়ারী রাত ১০টার দিকে মধ্য কাচারীপাড়া মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় কলেজ শিক্ষার্থী সিফাত। ঘটনার রাতেই মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে পাংশা হাসপাতালে এবং পরবর্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি ঘটলে বুধবার ১৩ জানুয়ারী তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিফাতের মৃত্যু হয়। সিফাত হত্যাকান্ডে এলাকায় প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পাংশার কাচারীপাড়া গ্রামে কলেজ শিক্ষার্থী সিফাত হত্যাকান্ডের পিও গতকাল শনিবার দুপুরে পরিদর্শন করেন মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস.আই মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় নিহতের মাতা শাবানা খাতুন বাদী হয়ে ২৩ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে পাংশা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৪, তাং-১৪/০১/২০২১ইং, ধারাঃ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ দঃ বিঃ।