সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা সবুজ প্রান্তরে পরিণত হয়েছে শষ্য ভান্ডার খ্যাত কচুয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। হিমেল বাতাসে মিষ্টি রোদে হাসছে কৃষকের স্বপ্ন। প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকের সবুজ স্বপ্নে ছেয়ে গেছে। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।
এদিকে কৃষকদের মাঝে চলছে ফসল পরিচর্চার ব্যাপক প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় সামনে পহেলা বৈশাখ নিয়ে। কে কার আগে ফসল কাটতে পারে এটি তার অন্যতম কারন। বোরো,ইরি ও আমন ধানের ঘ্রানে মুখরিত পুরো মাঠ। ঘরে ঘরে বইছে খুশিল আমেজ। এ যেন নতুন উৎসব। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকুল থাকলে ফলন হবে বাম্পার।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে কচুয়া উপজেলা ১২টি ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ৬শ ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এবার উপজেলায় বোরো ধানের ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলনের পরিমান লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
কৃষক রফিকুল ইসলাম,মামুন হোসেন,মালেক ও জহিরুল ইসলাম জানান, ধান গাছে সময়মতো পানি পাওয়ায় এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারিদিকে যেন সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। এবার বড় ধরনের ঝড় বা শীলা বৃষ্টি না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক্ষনিক ভাবে তাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। চলতি বছরে ধানোর বাম্পার ফলনে বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোফায়েল হোসেন বলেন, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। তবে ব্লাস্ট রোগ ও ইদুরের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষায় কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ধান গাছে শীষ বেরুতে শুরু হয়েছে। ফলে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলেও জানান তিনি।