রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান নিহত স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান কে গুলি করে হত্যার স্থান পরিদর্শন করেছেন। সেই সাথে স্থানীয় জনসাধারণ সহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকালে পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের একাধিক স্থান সহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নেরও স্থানীয় জনসাধারণ সহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করে।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো: রেজাউল করিম, এ এস পি (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান খান সহ জেলা ও অত্র থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্তিত ছিলেন।
প্রথমে পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমানকে গুলি করে হত্যার স্থান পরিদর্শন করেন। পরে কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থানীয় জনসাধারণের উদ্দেশ্যে মূলক বক্তব্য রাখেন। এ সময় কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা: বিলকিস বানু সহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে কসবামাজাইল ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজারে স্থানীয় জনসাধারণ ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এম এম শাকিলুজ্জামান জনসাধারণ ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কেউ রামরাজত্ব কায়েম করবে এটা হতে দেবো না।আপনারা আমাকে তথ্য দিন আপনার পরিচয় গোপন রাখা হবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমার অফিসাররা যদি কাজ না করে আমাকে বলুন। আমিও যদি কাজ না করি আমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দিন। আমি চাই মানুষ ভালো থাকুক, আমি এখানে কাজ করতে এসেছি থাকতে আসি নি।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের নিজেদের আত্মশক্তি জাগ্রত করতে হবে। সমাজে অপরাধীর সংখ্যা খুবই সামান্য।তারা ভাঙাচোরা বন্দুক ভোতা অস্ত্র নিয়ে আসবে আর আপনারা ভয় পাবেন এটা হতে পারে না। আপনাদের নিজেদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাহলে সমাজ থেকে এরা নিশ্চিহ্ন হবে।
উল্লেখ্য, রোববার রাত সোয়া ৯ টার দিকে পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের হোসেডাঙ্গা বাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলযোগে স্থানীয় দুই জনকে নিয়ে নিজ বাড়ি বসাকুষ্ঠিয়া গ্রামে ফিরছিলেন
পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান।এ সময় গাড়ি প্রতিরোধ করে তাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।