রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে জুতা-পেটা ও চুল ধরে টানাটানিসহ মারধোরের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সকালে উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাটকিয়াবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম মাহবুবুর রহমানের নিকট সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন ছুটি চান। তিনি ১টা পর্যন্ত স্কুল করে যেতে বলেন। এ নিয়ে দু,জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ঝগড়াসহ গালিগালাজ করে প্রধান শিক্ষক। একপর্যায়ে সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন পায়ের জুতা নিয়ে এগিয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান তার চুল ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে সহকারী শিক্ষক তার জুতা দিয়ে প্রধান শিক্ষককে জুতা পেটা করে।
এ প্রধান শিক্ষক সড়ক দুঘর্টনায় আহত হবার পর থেকেই এ ধরণের আচরণ করে। প্রায়ই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে তার ঝগড়া লেগেই থাকে। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি নতুন করে যাতে ঝামেলা না হয়, সেজন্য সকলকে চলে যেতে বলে। খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস খান টুটুলসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ওই বিদ্যালয়ে যান।
অভিযুক্ত শিক্ষক একেএম মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিপ করেননি।
সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন বলেন, আসলে আমাদের নিজেদের মধ্যে যা ঘটেছে, আমরা নিজেরাই মিমাংসা করে নিবো।
পাটকিয়াবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইতিপুর্বে প্রধান শিক্ষক সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত হয়। তারপর থেকেই মাঝে মাঝে এ ধরণের আচরণ করে। আজও সহকারী শিক্ষকের সাথে এ ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বালিয়াকান্দি উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আসলে অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস খান টুটুলকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে আপোষ করে নিতে বলেছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফুল হক বলেন, আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। রবিবার অভিযোগ দিবে বলেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।