রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ বালিয়াকান্দিতে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দোকান ও বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের চষাবিলা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। চাষাবিলা গ্রামের শহর আলী জোয়াদ্দারের ছেলে লোকমান জোয়াদ্দার বলেন, আমরা হাই মন্ডল ও নজরুল মল্লিকের সমাজে ছিলাম। জমি জমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিন রুস্তম আলী জোয়াদ্দারের ছেলে ইসলাম জোয়াদ্দারের সাথে বিরোধের চলে আসছিল। তারা রাতারাতি আমার জমিতে ঘর উত্তোলনের চেষ্টা করে। আমি ওই জমিতে ঘর উত্তোলন করে বসবাস করছিলাম। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নজরুল মল্লিক ও হাই মন্ডলের নেতৃত্বে ইসলাম জোয়াদ্দার, ইউনুছ জোয়াদ্দার, ইদ্রিস জোয়াদ্দার, ইউসুফ জোয়াদ্দার, মুছা জোয়াদ্দার, শফি খান, সুইট মন্ডল, মহসীন মন্ডল, জিয়ারুল মন্ডল, খোকন মন্ডলসহ শতাধিক লোকজন দৈশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আমার মুদিখানার দোকান ভাংচুর করে দোকানে থাকা ফ্রিজ, গ্যাস সিলিন্ডার, ডিজেল, পেট্রোল, মোবাইল লোড, চাউলসহ বিভিন্ন প্রকার ৬-৭ লক্ষ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমার ভাই সোবহান জোয়াদ্দারের চায়ের ও মুদিখানার দোকান ভাংচুর করে টেলিভিশন ও অন্যান্যে মালামালসহ ৮০ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও বসতবাড়ীর ৩টি ঘর কুপিয়ে ও ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। ৩টি আম ও মেহগনি গাছ কেটে ক্ষতি সাধন করে।
হামলাকারীদের মারপিটে আবু বক্কার জোয়াদ্দার (১৮), আলেয়া বেগম ( ২৮), আলাই সরদার (৪০), এলাহী জোয়াদ্দার (২৮) আহত হয়। আহতদের পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ইসলাম জোয়াদ্দার হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার উঠানো ঘর ভাঙ্গার কারণে হামলা চালিয়েছি। তারাও মারপিট করেছে, এতে ইদ্রিস জোয়াদ্দার (২৫) ও খোকন সরদার (৩০) আহত হয়। তাদেরকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।