যশোরের শিল্পাঞ্চল খ্যাত বসুন্দিয়ায় চুরির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর একইদিনে দুইটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এর আগে এলাকার কয়েকটি বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি গরু চুরি হয়েছে। ওশান ড্রিংকিং ওয়াটার এন্ড বেভারেজ নামীয় প্রতিষ্ঠান থেকে লকার ভেঙ্গে নগদ টাকা চুরি হয়েছে। এলাকার আইন-শৃক্সখলার মান অক্ষুন্ন রাখতে বসুন্দিয়ায় স্থায়ীভাবে একটা ক্যাম্প থাকলেও ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় মহল। অব্যহত চুরির ঘটনায় আতংকিত রয়েছে এলাকাবাসি।
বসুন্দিয়ার সদুল্যাপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে প্রাচীর ঘেরা বাড়ির মধ্যে থাকা তার নিজ¯^ ব্যবহৃত যশোল-ল-১৩-১১৬০ নম্বরের পালসার মোটরসাইকেলটি রাত ৩টার পর যে কোন সময়ে চুরি হয়ে গেছে।
একই দিন দুপুরের পর জঙ্গলবাঁধাল গ্রামের শওকত আলীর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালিন সময়ে জনৈক বরযাত্রী একটি এ্যাপাচি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায় এবং একই অনুষ্ঠান থেকে কন্যাযাত্রী গোবিন্দ নামে আরেক ব্যবসায়ীর টিভিএস-ফোরবি নামক মোটরসাইকেলে ইগনেশন সুইচে একটি মাস্টার চাবি প্রবেশ করানো হয়। কিন্তু সেখানে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে চোরচক্র পালিয়ে চলে যায়। এক মাস আগে গাইদগাছি গ্রামের ছলুম মুন্সীর গোয়ালঘর থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের দুইটি গরু চুরি হয়েছে। দুই মাস আগে একই গ্রামের চারটি বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়।
কয়েকমাস আগে বসুন্দিয়া মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে ইমন নামে আরেক ব্যবসায়ীর একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। সমসাময়িক সময়ে বসুন্দিয়া মোড়স্থ্য ব্র্যাক এজেন্ট ব্যাংক শাখার সামনে থেকে আরও একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়ে যায়। বসুন্দিয়া মোড় মাছ বাজারের দুইটি দোকানে চুরি হয়েছে। এর আগে ভ্যান চুরি করে পালানোর সময় মাগুরার এক যুবককে ধরে বসুন্দিয়া ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসি। ভ্যান চুরির এক সপ্তাহের মধ্যে একই গ্রাম থেকে একটি নসিমন চুরি হয়ে যায়। এভাবে একের পর এক চুরির ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতংকিত ও উৎকণ্ঠায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, গাইদগাছি, জঙ্গলবাঁধাল, কেফায়েতনগরসহ এলাকার কয়েকটি গ্রাম থেকে চুরি হয়েছে অন্তত ১০টি গরু। সিঁদ কেটে ঘর চুরি, দোকান চুরিসহ ছিঁচকে চোরের আনাগোনা এলাকায় অনেক বেড়ে গেছে। এসব বিষয়ে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্প এবং কোতয়ালী মডেল থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের হলেও ভুক্তভোগী মহল নেতিবাচক কোন সুফল পাননি।
এ ব্যাপারে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই জাকির হোসেন জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী মহলের পক্ষ থেকে আমাদেরকে সব বিষয়ে জানানো হয় না। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।