পটুয়াখালীর মহিপুরে নদী দখল করে চলছে বালুর ব্যবসা ও ভাড়া আদায়। নদীর তীর থেকে প্রায় ৫০ ফুট অভ্যন্তরে মাটির বাঁধ দিয়ে বালু ভরাট করে দীর্ঘদীন ধরে অব্যাহত রয়েছে এমন দখল কার্যক্রম। এসব দেখেও সংশ্লিষ্ট অফিসের এক কর্তা বলছেন বিশ ফুট বাদে নদীর মধ্যে রয়েছে দখলদারদের বন্দবস্ত ।
স্থানীয়রা বলছেন নদীর মধ্যে দখলের এমন দৃশ্য আগে কখনোই দেখেননি তারা। উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউপির পূর্ব আলীপুর ট্রলার মেরামতের পোতাশ্রয় (ডগ) সংলগ্ন শিববাড়িয়া নদী দখল করে তোলা হয়েছে বালু ব্যবসার ঘাট। দখলকৃত নদী ইতোমধ্যে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর কাছে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বেল্লাল কোম্পানী । তার দাবী ভূমি বন্দবস্ত পাওয়া মালিক পক্ষের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে নদীর ওই অংশের মালিক এখন তিনি।
স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ প্রভাবশালী বেল্লাল কোম্পানির ডগের পাশেই এই নদী দখল করে ভাড়া দিয়েছেন তিনি। এতে নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাঁধাগ্রস্থসহ মাছ ধরা ট্রলারসমূহ যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে নদীর ওই অংশ দিয়ে ২ থেকে তিনটি ট্রলারই চলাচল করতে পারছে না। এবিষয়ে নদীর অংশ ভাড়া নেয়া হিমি পরিবহনের মালিক জাকির হোসেন’র কাছে জানতে চাইলে তিনি মদ্যপ অবস্থায় সংবাদকর্মীদের সামনে হাজির হয়ে জানান, ‘আই ডোন্ট কেয়ার’। এ জমি আমি বেল্লাল কোম্পানীর কাছ থেকে এক লাখ টাকায় ভাড়া নিছি। আমারে কি ফাঁসি দেবে। এদিকে বন্দবস্ত পাওয়া মালিক থেকে ক্রয়সূত্রে নদী অংশের দাবীদার বেল্লাল কোম্পানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এইখানে আইছেন ক্যা। আপনাদের কি কাগজ আছে। ফাজিল সাংবাদিকের গুষ্টি।
অপরদিকে মহিপুর ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস সহকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান দখলের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওরা বন্দবস্ত পেয়েছে। তবে নদীর মধ্যে অন্তত বিশ ফুট দখল করেছে। কিভাবে নদীর মধ্যে বন্দবস্ত পেয়েছে তা আমি জানি না।
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, ওইখানে আমাদের মহিপুর ভ‚মি অফিসের তহশিলদারসহ লোকজন গিয়েছিলো। দখলদারদের এক দিনের মধ্যে নদীর অংশ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান, দুই দিনেও দখল অবমুক্ত করা হয়নি।