আর কে ওসমান আলী দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া কোরবানির পশুর হাটে মানুষের ঢল নেমেছে। পুরোদমে বেচা-কেনা চললেও বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতাই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। সরকারিভাবেও নেই কোনো বিধি-নিষেধ। এ অবস্থায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সচেতন মহলের।
দিনাজপুর নবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বগতিতে তখন ভাদুরিয়া পশুর হাটে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্য সতর্কতা। রবিবার ( ২৬ জুলাই) গরু ও ছাগলের জমজমাট হাঁটে ছিল না কোনো শারীরিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা।
পশু ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন দীর্ঘদিন কাজকর্ম না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা হাঁটে আসছেন গরু ছাগল বেঁচাকেনা করতে।
একজন বলেন, ‘আর কতদিন ঘরে বসে থাকা যায়, বাইরে তো বের হতেই হবে।’
আরেকজন বলেন, ‘যতটুকু পারি সেফ হয়ে চলি।’
ইজারাদাররা বলছেন,দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়ক পুনরায় নির্মাণ করার সময় মসজিদের কিছু অংস সহজ বিভাগ ভেঙ্গে ফেলে তাই এমপি শিবলী সাদিক মহাদয়ের নির্দেশে মসজিদ থেকে হাট ইজারা নেওয়া হয়েছে, মসজিদ পু্র্ননির্মাণ করার জন্য । দীর্ঘদিন আমরা লোকসান দিয়েছেন হাঁটটিতে। এখন যদি হাঁট চালাতে না পারি তাহলে মসজিদ পুনরায় নির্মাণ করা সম্ভব হবে না
নবাবগঞ্জ উপজেলা ভাদুরিয়া হাটের ইজাদার ও মসজিদ কমিটির সভাপতি বলেন, ভাদুরিয়া পুরাতন জামে মসজিদ কে পুনরায় নির্মাণ করার জন্য ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে শুধু এ বছরের কোরবানির পশুর হাটের জন্য ইজারা নেওয়া হয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট পরিচালনা করতেছি। হাঁটে গরু কিনতে আসলে দূরত্ব সম্ভব হয় না।’
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার মুন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাটবাজার পরিচালনা করার কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখানে হাট বাজারতো সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে সবই চলবে, কোথাও কোনো বন্ধ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব চলছে।’
এই বিভাগের আরও খবর....