পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আজ শনিবার জাতীয় পরিষদে ভোট হওয়ার কথা। এই ভোটের উপর নির্ভর করছে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কিনা। গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশন শুরু হয় শনিবার সকালে। শুরুর কিছুক্ষণ পরই অধিবেশন স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। তবে ভাগ্য নির্ধারণী এই অধিবেশনে মুলতবির আগ পর্যন্ত অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না ইমরান খান।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় অধিবেশন শুরু হয়। শুরুর কিছুক্ষণ পরই অধিবেশন স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। খবর ডনের।
এর আগে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হয়। এর পর জাতীয় সংগীত ও ফাতিহা পাঠ করা হয়।
পার্লামেন্টের স্পিকার আসাদ কায়সার অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেছেন।
জিও টিভির খবরে বলা হয়, অধিবেশন শুরুর পর পিটিআইয়ের ১৫১ সংসদ বিরোধী দলের নেতা শেহবাজের বক্তব্যে ব্যাঘাত ঘটাতে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় শেহবাজ স্পিকারকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী অধিবেশন পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিরোধীরা আজ ‘সিলেক্টেড’ প্রধানমন্ত্রীকে আইন ও সাংবিধানিক পন্থায় উৎখাত করবে।
এর পর স্পিকার বলেন, পিটিআই সরকারের বিরুদ্ধে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ নিয়ে হাউসে অবশ্যই একটি আলোচনা হওয়া উচিত।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট দাঁড়িয়ে স্পিকার কায়সারকে মনে করিয়ে দেন যে, তিনি ‘সুপ্রিম কোর্টের আদেশ পালনে বাধ্য’।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশ সত্ত্বেও পাকিস্তানের তথ্য ও আইনমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, আজকের বদলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোট আগামী সপ্তাহে হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা খুব বেশি সময় নেব না। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট নিয়ে আলোচনার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমকি বার্তা নিয়ে বক্তব্য দেবেন।
অপরদিকে জাতীয় পরিষদ সচিবালয় সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট যেন আজই অনুষ্ঠিত হয়। অন্যথায় স্পিকার আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন।
শুক্রবার জাতীয় পরিষদে আলোচনার জন্য ছয়টি বিষয় কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অনাস্থা ভোট রয়েছে চার নম্বরে।