রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পৌর এলাকাধীন নারায়নপুর ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দার কুরবান চৌধুরী (৪৩) তার ভাইয়েদের উপর কাউন্সিলার বাদশা মন্ডল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার বিচারের দাবিতে নিরব প্রতিবাদ।
কুরবান চৌধুরী রবিবার নিরব প্রতিবাদ সমাবেশে উল্লেখ করে গত ১০ তারিখ সন্ধ্যা ৭.৩০ উপজেলাধীন নারায়ন পুর রেলগেট মসজিদ এর রেলগেট মন্দিরের সামনে থেকে আমার ভাইয়েদের কে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। ওই ঘটনায় ৬ জনকে পাংশা মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে, তবে পরের দিন ৫ জন জামিন পেয়ে আবার আমার ও আমার পরিবারের উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে এবং মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছ। আমাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। এখন আমি নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে আছি।
উল্লেখ্য বাদী কুরবান চৌধুরী (৪৩) পাংশা মডেল থানায় এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে গত ১০ মে সন্ধ্যা সাড়ে সাত ঘটিকার সময় আমার প্রতিবেশি তমছের মন্ডল(৫০) তার নিজ বাড়ী হইতে উপজেলাধীন নারায়ন পুর রেলগেট মসজিদ এর উদ্দের্শে রেলগেট মন্দিরের সামনে গেলে,পাংশা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার মোঃ বাদশা মন্ডল(৫২) ও তার দুই ছেলে মোঃরাশিদুল মন্ডল ও মোঃ মিজান মন্ডল সহ সাঈদ মন্ডল(২৩), সাগর মন্ডল(২০),সামিম মন্ডল(২০), শিপন মন্ডল(২০), রাজিব মন্ডল(২০),আল মামুন মন্ডল(৫০),আফাজ উদ্দিন মন্ডল(৪০),মিলন মন্ডল(৩৫), সবুজ মন্ডল(৩২),হান্নান আলী(৪০), ফয়জল হক(৫৫), ওয়ালিদ মন্ডল(২০), পিয়াস মন্ডল(১৯), রেজাউল মোল্লা(৪০),রিপন মন্ডল(৩৫),জনি মন্ডল(২১),আলী হাসান মন্ডল(১৯), শফি মন্ডল(২৫),গালিব মোল্লা(২০)সহ অজ্ঞতনামা আরো ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র যথা হাসুয়া,রামদা,চাপাতি,চাইনিজ কুড়াল,চাকু,লোহার রড,ইত্যাদি নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দের্শ্যে আক্রমন করে। আহত তমছের মন্ডল কে আহত অবস্থায় আমার আপন ভাই শরিফ চৌধুরী(৩৫),আরিফ চৌধুরী(৪০), মামাতো ভাই নাইম চৌধুরী(১৫), আব্দুর রাজ্জাক(২৩),আশরাফুল(২৫)সহ অন্যান্য লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ।পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন তমছের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
অভিযোগে কুরবান চৌধুরী আরও উল্লেখ করেন, আমার আপন দুই ভাই ও মামাতো ভায়েরা আহত তমছেরের স্ত্রীকে বাড়ীতে রাখিয়া ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই স্থানে আসামীগন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র যথা হাসুয়া,রামদা,চাপাতি,চাইনিজ কুড়াল,চাকু,লোহার রড, নিয়ে আমার ভাই ও মামাতো ভাইদের উপর অতরর্কিত হামলা করে।
হামলা কারিরা খুন করার উদ্দের্শে আমার ভাই শরিফ চৌধুরীর মাথায় চাপাতি দিয়ে ২ টি কোপ মারে এতে শরিফ চৌধুরী গুরুতর আহত হয়। পুনরায় আরিফ চৌধুরীকে চাপাতি দিয়ে মাথায় খুনের উদ্দের্শে আঘাত করে কমিশনার বাদশা মন্ডল। শুধু তাই নয় আসামী আল মামুন খুন করার উদ্দের্শ্য আরিফ চৌধুরীকে মাথায় কোপ দিতে গেলে,সে ডান হাত দিয়ে কোপ ফিরাইতে যেয়ে হাতের কোবজ্বি কেটে যায়। এছাড়াও অন্যান্য আসামীগন আরিফ চৌধুরীকে এলোপাতারী দেশিয় অস্ত্রদিয়ে কোপাতে থাকে। এছারাও মামাতো ভাই নাইম,রাজ্জাক, আশরাফুলকে উক্ত আসামীগন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে থাকলে তারা উভায়ই গুরুতর অহত অবস্থায় রাস্তায় পরে যায়।
আমার ভাইদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অস্ত্রধারী আসামীগন স্থান ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়দের সহোযোগিতায় আমি আমার ভাইদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করি। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার, আমার ভাইদরে অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
বর্তমানে আমার ভাইয়েরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
কুরবান চৌধুরী বলেন আমি আমার ভাইদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়া ভাইসহ তমছেরের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারি।