সেলিম সরদার(৩৭)পিতা মৃত,খলিল সরদার তার নিজ দখলে থাকা জমির আম ফল (২৩জুন)জোর জোরপূর্বক ভাঙতে আসে জয়নাল মেম্বার(৫৫)পিতা মৃত জলিম, জুয়েল(২৭) পিতা আলতাফ সর্দার, আজিবর(৩৭) পিতা টনি, হৃদয়(২৬) পিতা মহন সরকার,ফজল(৩৬) পিতা মন্টটু সরকার,হাসান(২৬) পিতা আলতাফ সর্দার, আলতাফ(৫০) পিতা লালু সর্দার, মেহের (৪৭) মৃত জেকের আলী।বাড়ীর পার্শে ঐ আম বাগানের মালিকানায় ভোগদখলে রয়েছে সেলিম সরদার ও তার ছোট ভাই ভোলার।সেলিম ও তার ভাই ভোলাকে নিয়ে আম বাগানে উপস্থিত হয় ও এলাকার লোকজনদের সহায়তায় জোরপূর্বক ভাঙ্গা আমগুলো মধ্যে ৪/৫ মন নিয়ে বাড়িতে চলে আসে।
একই দিনে সন্ধ্যার পরে রাত সাড়ে ৮ঘটিকায় রুস্তমপুর বাজারের ছোলিম এর কীটনাশক এর দোকানের হালখাতা করার উদ্দেশ্যে সেলিম বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেলিম কে একা পেয়ে জয়নাল মেম্বার ও জুয়েলের নেতৃত্বে ৭/৮জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র লোহার রড,হাতুড়ী,ধারালো হাসুয়া নিয়ে সেলিম কে আক্রমণ করে উক্ত দোকানের মধ্যেই। সেলিমের ভাই ভোলা এসে বাধা দেওয়া ও ভাই কে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে। ঘটনাস্থলে দুই ভাই সেলিম সর্দার ও ভোলা সর্দার কে মেরে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে চলে যায় বলে জানা যায়। স্থানীয় লোকজন পরে থাকা সেলিম ও ভোলাকে প্রথমে বাঘা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিক্যালে হাসপাতালে পাঠানে হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।সেলিম ও ভোলার মাথায় প্রায় ১৬টি সেলাই লেগেছে বলে জানান তারা।
সেলিম সরদার নিজে বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জয়নাল মেম্বার, জুয়েল, আজিবর, হৃদয়, ফজলু,হাসান, মেহের, আলতাব সহ মোট ৮ জনকে আসামী করে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে সেলিম সরদার।
অভিযোগ পত্র দায়েরের পরেও থেমে নেই, আসামি পক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিতি প্রদর্শনী করে যাচ্ছে। সেলিম সরদার এর পরিবারের মোট ১৮থেকে ২০জন সদস্য আসামিদের ভয়ে প্রায় গৃহবন্দির মত ।
সেলিম সরদার বলেন, আমরা আড়ানী পৌরসভার বাসিন্দা। আড়ানী পৌরসভার প্রথম মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, দ্বিতীয় মেয়র নজরুল ইসলাম আমাদের এই জমিজমার শালিসে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। বর্তমান মেয়র মোঃ মুক্তার আলী নিজেও আমাদের এই জমিজমার বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক করেছেন এবং কাগজপত্র দেখে আমার পক্ষেই রায় প্রদান করেন।এতো বার গণ্যমান্য বক্তিবর্গের শালিস কে অমান্যতা করে সমাধানে আসেনি। তিনি আরো বলেন আমার প্রতিপক্ষের লোকজন মাঝেমধ্যেই অর্থের বড়াইয়ে এবং লোকজনের জোরে আমার ও আমার পরিবারের উপরে নানা প্রকার নির্যাতন করে আসছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, সেলিম সর্দার এবং তার প্রতিপক্ষের মধ্যে এই জমি নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে। সেলিম সর্দার জমির কাগজ পত্র উপস্থিত করতে সক্ষম হয় কিন্তু তার প্রতিপক্ষ সঠিক কোন কাগজপত্র শালিসে দেখাতে ব্যর্থ হয় বার বার। তারপরেও তারা অর্থ ও লোকজনের জোরে এলাকায় শুধু সেলিম সর্দার এর সাথেই নয় এলাকার আরো অন্যান্য মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার লাঞ্ছিত ও বিভিন্ন রকম অসামাজিক অপকর্ম করে যাচ্ছে। আমরা সাধারন মানুষ তাদের কিছুই বলতে বা বলতে পারিনা। আমরা নিরুপায়, এমনকি সেলিম ও ভোলা কিংবা তাদের পরিবারের খোঁজখবর নিতে পারছি না এদের ভয়ে।
এ বিষয়ে বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি দুপক্ষের। বিষয়টি তদন্ত চলছে।তবে এলাকাতে বসে মিমাংশা হবে বলে একপক্ষ জানিয়েছে.