রাজশাহী
পুলিশ জানায়,গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে শয়ন কক্ষের তীরের (আড়ার) সাথে ঝুলছিল গৃহবধু। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গৃহবধুর স্বামী ইসলাম আলী জানান, স্ত্রী প্রিয়া বেগম শনিবার তার বাবার বাড়ি পাবনায় যাওয়ার জন্য বলছিল। আমি দুই একদিন পরে যাওয়ার কথা বলি। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে তার সাথে মতবিরোধ হয়। তার দাবি, স্ত্রীর কথামতে যেতে না দেওয়ার অভিমানে আত্নহত্যা করেছে।
ইসলামের মা নজেরা বেগম (গৃহবধুর শ্বাশুড়ি) জানান, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ছেলে বাড়ির বাহিরে যাওয়ার পরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখি। ঘরের কাছে গিয়ে তাকে ডাকা ডাকি করে সাড়া পাননি। পরে আমার ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে বাহির থেকে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে শয়ন কক্ষের তীরে(আড়ার) সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রিয়া বেগমকে দেখতে পান।নজেরা বেগম আরও জানায়,বছর খানেক আগে পাবনা সদর এলাকায় ইট ভাটায় কাজে গিয়ে তাদের বিয়ে হয়।
স্থানীয় মেম্বর আব্দুর আজিজ জানান,পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ইউডি মামলা করা হয়েছে।