আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন এই দিনে। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে ৪৯ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে ৪৯৫ জন প্রার্থা।
উপজেলার সরিষা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা) বাহার বিশ্বাস, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে।
তবে সরজমিনে এলাকা বাসির বক্তব্য অনুযায়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন আনারস প্রতিক নিয়ে জন সমর্থনে শীর্ষে রয়েছে।
এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানাযায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন ৮০ দশক থেকে পর পর তিন বার সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে তিনি পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উপজেলায় ব্যপক উন্নয়ন করেন। এর পর তিনি রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
তবে তিনি নিজ ইউনিয়ন ছেড়ে উপজেলার রাজনীতিতে যুক্ত হলে তার ছোট ভাই আব্দুর সুবাহান বিশ্বাস সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। তবে সুবাহান বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছে।বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কলেজ সরকারি হওয়ায় সে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না পারায় বাধ্য হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
এ সময় সাধারণ ভোটার গন বলেন, গত ৫ বছরে বর্তমান চেয়ারম্যানের সাথে সাধারণ মানুষের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে চেয়ারম্যান হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করা। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করার কারণে এবার দলীয় নমিনেশন পেলেও তার প্রতি আস্তা নেই মানুষের।
এলাকায় ঘুরে জানাযায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন চেয়ারম্যান থাকা কালীন সময়ে সরিষা ইউনিয়নে ব্যপক উন্নয়ন করেছে। তবে তিনি দীর্ঘদিন পাংশা থাকলেও এলাকার মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। প্রতিটি বিপদে আপদে সে পাশে থাকে, তাই আমরা আহম্মদ হোসেন কে ভোট দিবো। প্রতিক দেখে নয় প্রার্থী দেখেই ভোট দিবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বলেন, এবার যেভাবে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে তাতে ভোট জালিয়াতির সুযোগ নাই। ফলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আনারস বিজয়ী হবে।