অ্যাপসে প্রদর্শিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় এবং যাত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস পাঠাও লিমিটেডকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আগামী তিনদিনের মধ্যে এর সঠিক ব্যাখ্যাসহ জবাব না দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠাও লিমিটেড, পাঠাও এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রযুক্তি কর্মকর্তার প্রতি এই নোটিশ পাঠানো হয়।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা আফজাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
তার অভিযোগ, ‘পাঠাও’ তার কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায় করেছে এবং রাইড শেয়ারিং এ অ্যাপটি প্রায় সময়েই তার যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করে যার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
লিগ্যাল নোটিশে আফজাল হোসেনের আইনজীবী উল্লেখ করেন, গত ২৩ অক্টোবর বাংলামোটর থেকে গন্তব্যস্থল শেওড়াপাড়ার জন্য একটি পাঠাও রাইড ঠিক করেন আফজাল। সেখানে ভাড়া প্রদর্শন করা হয় ১০৫ টাকা। তবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পর পাঠাও রাইডার (বাইক ড্রাইভার) ভাড়া দাবি করেন ১৭৩ টাকা। যেহেতু ভাড়া প্রদর্শিত হয়েছিল ১০৫ টাকা, সেহেতু আফজাল হোসেন এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ১৭৩ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়।
আফজাল হোসেনের আইনজীবী আরও অভিযোগ করেন, গত ৪ নভেম্বর রোকেয়া সরণি থেকে বীর উত্তম সি আর দত্ত রোডে অবস্থিত সময় টিভির অফিসে আসতে আবারও পাঠাও বাইক সার্ভিস ব্যবহার করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাকে।
এবার ভাড়া দেখানো হয় ১২১ টাকা। অথচ গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পর সেই ভাড়া হয় যায় ১৪৯ টাকা। এ বিষয়ে চালককে ১২১ টাকা নিতে অনুরোধ করলে তিনি তা অস্বীকার করেন এবং নতুন ভাড়া দিতে বাধ্য করা হয় আফজাল হোসেনকে।
লিগাল নোটিশে ভাড়ার এই হেরফের হবার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। আফজাল হোসেনের দাবি, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
এছাড়াও লিগ্যাল নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয় যে, পাঠাও তাদের ড্রাইভারদের দিয়ে এভাবে নিয়মিত পকেট কাটছে গ্রাহকদের। পাঠাও সার্ভিসের ভাড়া কোন নিয়মের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হচ্ছে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে।