রাজবাড়ী দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের ৩য় দিনে ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাক, গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রচন্ড স্রোতের কারনেই ফেরি পারাপারের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) সরেজমিনে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ট্রাক ও পরিবহনের দীর্ঘ সারি। তবে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিঃ মিঃ পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এসব যানবাহনের মধ্যে কোরবানি পশুবাহী ট্রাক যাত্রীবাহী বাস,কাভার্ড ভ্যান রয়েছে এবং দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৪ কিঃ মিঃ দূরে রাজবাড়ীর কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে কল্যাণপুর পর্যন্ত নদীপারের অপেক্ষায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন রয়েছে।যার পরিমাণ প্রায় ৬শ থেকে ৭শ মতো হতে পারে।
একদিকে পশুবাহী ট্রাক ড্রাইভার গন যেমন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে অপেক্ষা করতে করতে তেমনি দুশ্চিন্তায় পরেছে গরু ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘক্ষন প্রখর রোদ্রে দাড়িয়ে থাকার জন্য অনেক গরু অসুস্থ হয়ে পরছে। অনেক ট্রাকে গরুকে বাতাস করছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা প্রতি বছর এই কোরবানি ঈদ কে সামনে রেখে ঢাকায় গরু নিয়ে যাই ভালো দামের আশায়। কিন্তু এই ঘাটের অবস্থার কোন পরিবর্তন আজ অব্দি দেখলাম না।
জুয়েল নামে এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, আমি যশোর থেকে আসছি ভোর রাতে, ওয়েস্কেলের লাইনে আটকে পড়ি ভোর ৫ টায়। তার সাথে সাংবাদিক মিঠুন গোস্বামীর কথা হয় তিনি তখন ঘাটে, বেলা তখন ৯ টা। সে সময় তিনি বলেন আসলাম তো ঘাটে কিন্তু ফেরির নাগাল যে কখন পাবো বুজতে পারছিনা। তাছাড়া প্রচন্ড গরমে আমাদের গরু গুলোর কি হবে আল্লাই জানে। আমাদের ট্রাক গুলো দয়া করে পার করে দেবার ব্যবস্থা করে দেন।
কুষ্টিয়া থেকে আসা অন্য এক গরুর ব্যাপারী সোহেল বলেন, ভাই গরমে গরুগুলোর মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে যাচ্ছে, হাত পাখা দিয়ে গরুগুলোকে বাতাস দিচ্ছি,পানি দিচ্ছি কিন্তু তাও কাজ হচ্ছে না, চিন্তায় আছি গরুগুলোকে নিয়ে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক ঘাট ইনর্চাজ শিহাব উদ্দিন বলেন,আমাদের নির্দেশনা দেয়া আছে কোরবানি পশুবাহী ট্রাকগুলো অগ্রধিকার ভিত্তিতে নদী পার হবে, আমরা সেই ভাবেই কাজ করছি। তবে গণপরিবহন চালু হওয়ায় যানবাহনের কিছুটা লাইন সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রত্যকটি পশুবাহী ট্রাক গুলো সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫ টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে।