বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ সিকদার এসব অভিযোগ করেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আশ্রাব, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: নাসির উদ্দীন খালাসি, ভগ্নিপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ পৌর কমিটির সভাপতি আ: ছালাম বিশ্বাস প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ফিরোজ সিকদার বলেন, অগঠনতান্ত্রিক ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তৈরীকৃত পৌর কমিটি এবং কালো টাকার বিনিময়ে ভোটার প্রভাবিত করা কাউন্সিলে সুবিচার পাবো না বলেই আমি মেয়র প্রার্থী কাউন্সিলে তামাশার ভোট বর্জন করি।
লিখিত বক্তব্যে ফিরোজ আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। অথচ কিছু কিছু নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির কারনে সংগঠনটি কালিমা লিপ্ত হচ্ছে। গত ২৩ নভেম্বর ২০১৯ পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলনে বিপুল হাওলাদার ও দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুমকে সভাপতি, সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি করার দায়িত্ব দেয়া হয়। কমিটিতে সভাপতির ভাইসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও নাগরিকদের নিয়ে পছন্দমত কমিটি করা হয়। এতে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দেয়ায় গত ১৩ অক্টোবর ২০২০ বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এমনকি আমি বিগত দু’টি কমিটিতে থাকলেও এ কমিটিতে আমাকে রাখা হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, তৃনমূলের ভোট গনতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরন করে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করা হয়েছে। ফিরোজ সিকদার ভোট বর্জন করে তার নাম ৩য় প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে প্রেরনের জন্য অনুরোধ করেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে পৌর কমিটি অনেক আগেই গঠিত হয়েছে।