মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদ চত্তরে মানববন্ধনের আয়োজন করে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনের আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন গোলদার।
ঢাকার সাভারে টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ী জামাল হোসেন গোলদার নামের এক ব্যক্তিকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়। তবে এখানেই দুষ্কৃতিকারীরা থেমে যায়নি, হামলা চালিয়েছে মামলার বাদী ইমরান হোসেন গোলদারের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায়। প্রতিবাদ করলে তার পরিবারের উপর নেমে আসে বিভিন্ন হয়রানি। শুধু তাই নয় মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারকে। আলোচিত জামাল হোসেন গোলদারের হত্যাকারীদের চক্রান্ত থেকে বাঁচতে এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
অভিযোগে নিহতের ভাই ইমরান হোসেন গোলদার বলেন, বিবাদীদের কথামতো মামলা প্রত্যাহার না করায় আসামীদের ষড়যন্ত্রে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। নিহত জামাল হোসেন গোলদারের ছেলে রিয়াজুল ইসলামকে (১৭) গত বছরের নভেম্বর মাসে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে সুরুচি হোটেলের সামনে একা পেয়ে রায়হান, ফোরকান, আনোয়ার, ইমরানসহ ৮/১০ জন সন্ত্রাসী মারধরসহ হত্যার চেষ্টা করে। এবং তাকে ছিনতাইকারী বানিয়ে সাভার মডেল থানায় সোপর্দ করে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রলীগ নেতা রায়হান হামিদসহ ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত হত্যা মামলা এবং হত্যার চেষ্টা মামলা ভিন্ন খাতে নিতে উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন প্রাপ্ত প্রধান আসামী ফোরকান হাকিম বাদী হয়ে উল্টো পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফোরকান হাকিমের দায়েরকৃত সেই মামলাটি খারি করে দেন আদালত। গেল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাভার পৌর যুবদলের ৮ নং ওয়ার্ডের ৪ নং সহ-সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও উস্কে দিয়ে আমাকে যুবলীগ কর্মী বা নেতা বলে প্রচার করে এবং পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে সাভারের দক্ষিণ রাজাসন এলাকার সাইনবোর্ডের মোড়ে অবস্থিত দুই তলা বিশিষ্ট ভবনে গোডাউনের ইট ও গেইট ভেঙে অনুমান ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ভাঙচুর করে আরও ১২ লাখ সহ মোট ৫০ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি করে।
এ সময় নিহতের স্ত্রী মশিউড়া বেগম, ছেলে রিয়াজুলসহ শতাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়।