জর্ডানের একটি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অন্তত ৮ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহত রোগীদের স্বজনরা বিক্ষোভ করেন। ঘটনার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাথির ওবেইদাত। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাতে রাজধানী আম্মানের ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে সল্ট শহরের নিউ সল্ট সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন বিভ্রাটের ওই ঘটনা ঘটে। এতে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র, প্রসূতি বিভাগ ও করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দেয়।
ঘটনার পর রোগীদের দেড় শতাধিক আত্মীয়-স্বজন হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা হাসপাতালে প্রবেশের চেষ্টা করলে সেখানে মোতায়েন পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাদের বাধা দেন।
এদিকে এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জর্ডানের প্রধানমন্ত্রী বশির আল খাসাওনেহ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে এ ঘটনায় নিজের ‘নৈতিক দায়’ স্বীকার করে পদত্যাগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ঘটনার পর পরই জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে হাসপাতালের পরিচালককে বরখাস্তের নির্দেশ দেন তিনি।
এক ভিডিও ফুটেজে হাসাপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে তাকে খুব রাগান্বিত হতে দেখা যায়। এ সময় তাকে হাসপাতালের ডিরেক্টর সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলতেও দেখা যায়। তিনি বলছিলেন, ‘কিভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটলো? এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ জানা যায়, ওই হাসপাতালে শনিবার সকাল ৬টা থেকে অক্সিজেন স্বল্পতা শুরু হয়। যেটা চলে সকাল ৮টা পর্যন্ত। এই সময়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, জর্ডানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হঠাৎ করেই দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গত সপ্তাহে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার ঘোষণা দেয় দেশটি। এরপর শুক্রবার থেকে ফের পূর্ণ লকডাউন জারি করে।
বৃহস্পতিবার সেখানে আট হাজার ৩০০ নতুন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে দেশটি জানিয়েছে। এ পর্যন্ত চার লাখ ৬৫ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।