মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মিজানের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় গত কয়েক দিন যাবৎ ধারাবাহিক ভাবে প্রচারিত হচ্ছে। এতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। পুলিশের নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান বিষয়টি আমলে নেন এবং তদন্ত কাজ শুরু করেন।
তদন্ত কালীন সময় ধূর্ত এসআই মিজানের সাক্ষ্য প্রদানকারী গ্রাম বাসীদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদান করে চলেছেন। ইতোমধ্যে প্রকাশিত রিপোর্টে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন রাজাপুর গ্রামের সাক্ষী কোহিনুর বেগমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়, অপর দিকে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ধান্যখোলা গ্রামের জসীম উদ্দীন কেও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। শুধু তাই নয় ভুক্তভোগীদের নিয়ন্ত্রনে এবং নিশ্চয়তা পেতে স্বাক্ষরিত সাদা কাগজে গ্রামবাসীদের স্বাক্ষর ও জালিয়াতি করে।
যা কিনা মিজানের অজান্তেই জালিয়াতি করা ঐ পত্র ভাইরাল হয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের হাতে এসে পৌছায়। সাংবাদিক মহলে বিষয়টি জানাজানি হওয়াতে স্থানীয় সাংবাদিকগণ ঘুষখোর এবং দুর্নীতিবাজ বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মিজানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লিপি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। সাথে সাথে তার এই অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য পুলিশের সুপারিশের অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য: বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মিজান এর বিরুদ্ধে ঘুষ চাঁদাবাজির রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন কায়দায় হুমকি প্রদান করে আসছে। সাংবাদিকদের দাবী তার এই হুমকির প্রতিবাদে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। অন্যথায় এসআই মিজানের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা হবে বলে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জানিয়ে দিয়েছেন।