আন্তর্জাতিক ডেক্স:নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলায় নিহতদের মধ্যে দু’জন বাংলাদেশি রয়েছেন। বাংলাদেশের অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরও আট বাংলাদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির এক ব্যক্তি বলেছেন, গোলাগুলির পর থেকে তার এক আত্মীয়কে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। তার ফোন নম্বরও বন্ধ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে আল নূর নামের মসজিদে ওই হামলা হয়। আল নূর ছাড়াও হামলা হয়েছে ক্রাইস্টচার্চের আরেকটি মসজিদেও। এতে সব মিলিয়ে ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন খেলোয়াড় হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছে আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। এ সময় ওই হামলার মুখে পড়েন তারা। একজন নারী মসজিদের প্রবেশ মুখে এসে বাংলাদেশ ক্রিকেটদলের খেলোয়াড়দের সেখানে হামলা হয়েছে জানিয়ে ঢুকতে নিষেধ করেন। সাথে সাথেই তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জঙ্গি ধাঁচের পোশাকে এক ব্যক্তি আল নুর মসজিদে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মসজিদে নামাজ পড়তে ঢুকছিলেন খেলোয়াড়রা; এসময় হামলার ঘটনা ঘটে। তারা নিরাপদে ফিরে আসেন।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেন, দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় ‘যতদূর জানতে পেরেছি’ বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। একজন নারী ও তিনজন সন্দেহভাজন পুরুষকে ধরা হয়েছে। অন্য কেউ এতে জড়িত আছে কিনা তা আমরা নিশ্চিত নয়।