ছাত্রলীগ সম্পাদকের সাথে একাধিক নারীর ছবি এডিটিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত করে স্যোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে একটি প্রভাবশালী কুচক্রি মহল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’র সুনাম ক্ষুন্ন করার লক্ষেই এ মহলটি উঠে পরে লেগেছে। সকাল ১১ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাব হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবী করেন কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগ’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাইফুর রহমান হাসান।
লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে হাসান উল্লেখ করেন, তার বিরুদ্ধে কোন নারী অভিযোগ করেনি। তাই বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণœ করতে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তার দাবী। এবিষয়ে আইসিটি আইনে মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার আমাকে গালমন্দ করে এমন একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায়। যা ধামাচাপা দিতেই এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তার ছবির সাথে বিভিন্ন নারীর ছবি ফটোসপে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি হাসানের।
লিখিত বক্তব্যে হাসান আরও বলেন, আমার ব্যক্তিগত সুনাম এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন অসত্য ও মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যা আইসিটি আইনের পরিপন্থি বলে আমি মনে করি। আমার ছবির সাথে যেসব মেয়েদের ছবি এডিট করে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে ওইসব মেয়েদেরও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আমার সাথে ব্যক্তিগত আক্রোশকে কেন্দ্র করে এমন অপপ্রচার চালানোর কারণে কয়েকটি পরিবার সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এসব অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মজিবুর রহমান ও মহিপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মাসুদ রানাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এবিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা। তাছাড়া আমি ওই ছেলের বন্ধু নই। যদি কেউ ছবি ছেড়ে থাকে তা ওর বন্ধু বান্ধব হতে পারে, আমি এমনটা লোক মুখে শুনেছি। শুধু শুধু আমাকে হেয় করতে একটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ওকে দিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।