পটুয়াখালীর,কলাপাড়ায় সুইজগেট সংলগ্ন সরকারি খালের দু’টি বাধঁ। এটি দখল করে মাছ চাষ করছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল মাছ চাষ করার জন্য বাঁধ দিয়েছে। এর ফলে এলাকার পানিবন্ধি তিনটি গ্রামের মানুষ । সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এলাকার কৃষকরা প্রায় হাজার হাজার একর জমি চাষাবাদ করতে পারছে না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন. উপজেলার ধূলাসার ইউনিয়নের অনন্তপাড়া গ্রামের দীর্ঘ দশ কিলোমিটার অনন্তপাড়া খাল। বর্ষা মওসুমে অনন্তপাড়া,পশ্চিম ধূলাসার ও খেয়াঘাটসহ তিনটি গ্রামের পানি নিস্কাশন হয়।এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল খালের ওপর দু’টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। এর ফলে শুষ্ক মওসুমে স্লুইজ গেট খুলে লবন পানি উঠিয়ে মাছ চাষ করে। বর্ষা মওসুমে স্লুইজ গেট বন্ধ করে রাখার কারনে বর্ষার পানি নামতে পারছে না। ফলে ওই তিন গ্রামের হাজার হাজার একর কৃষি জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে।
পশ্চিম ধূলাসার গ্রামের বাসিন্দা মো.হুমায়ুন কাজী বলেন, ধূলাসার ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি বশির মৃধা, হান্নান গাজী, রিপন গাজী, ইলিয়াজ ও জুন্নুন খালের ওপর বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। এ কারনে শুস্ক মওসুমে লবন পানি প্রবেশ করান। ফলে এলাকার কৃষি জমিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বর্ষার পানি নামতে পারছে না।
অনন্তপাড়া গ্রামের গৃহবধূ নার্গিস বেগম বলেন, লবন পানি উঠানোর কারনে এলাকার কৃষি জমি লবনাক্ত হয়ে যায়। গবাদিপশুর খাওয়ানোর জন্য মাঠে ঘাস পর্যন্ত জন্মাতে পারে না। বর্ষা মওসুমে জলাবদ্ধতায় বাড়ির উনুন পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে থাকে। ফলে রান্নাবান্না করতে পারছে না। শতবছরের বৃদ্ধ শওকত আলী চৌকিদার বলেন, এলাকায় লবনাক্ততার কারনে এলাকায় সবজি পর্যন্ত জন্মাতে পারছে না।
এর প্রতিবাদ যখন যে করে প্রভাবশালী মহলের সন্ত্রাসী বাহিনী তাদেরকে মারধর করে। এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে জেল খাটতে হয়েছে। গত ২৯ জুন এর প্রতিবাধ করায় বাবলা তলা বাজারে শফিক পাটোয়ারীকে ইট দিয়ে পা থেতলীয়ে দেয় । এ ঘটনায় শফিক মহিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিপুর থানার এস আই সাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ধূলাসার ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি বশির মৃধা বলেন, খালটি লিজ নেয়া হয়নি। তবে এলাকার দু’টি মাদ্রাসার লিল্লাহ বোডিং বছরে এক লাখ টাকা দিচ্ছেন বলে দাবি করেন। কোনো প্রকার লবন পানি উত্তোলন কিংবা জলাবদ্ধতা সৃষ্টির জন্য পানি আটকিয়ে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক বলেন, কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে মাছ চাষ করার কোনো সুযোগ নেই। আমি ধূলাসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জলাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য বলে দিচ্ছি।