পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর থানা পুলিশ’র বিরুদ্ধে ইয়াবা সহ দু’যুবক ও এক নারীকে আটকের পর আটকৃকত নারীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি গত দু’দিন ধরে তোলপাড় সৃষ্টি করছে।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াকাটার একটি বিলাস বহুল আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় মহিপুর থানা পুলিশ। এসময় হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ থেকে এক কল গার্ল সহ দুমকী থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রুপসিয়া গ্রামের আ: আজিজ হাওলাদার’র ছেলে মেহেদি হাসান মুন্না (২৮) ও সাতানি কালভার্ট বাজারের মৃত মফেজ জোমাদ্দার’র ছেলে আবু জাফর (৪৪) কে আটক করে পুলিশ। পরে হোটেলের কক্ষ থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি ও ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর রহস্য জনক ভাবে মহিপুর থানা পুলিশ একজনকে ৫পিচ ও অপর জনকে ২০ পিচ ইয়াবা দেখিয়ে জব্দ তালিকা তৈরী করে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করে। তবে মামলার বিবরনে কল গার্ল বলে এড়িয়ে যায় পুলিশ। বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হবার পর এ সংক্রান্ত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যাতে মামলায় এড়িয়ে যাওয়া বিষয়গুলো ফাঁস হয়ে পড়ায় অভিযানে অংশ নেয়া মহিপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো: সাইদুর (বিপিনং-৭৮৯৮০৫৮২২৫), সহকারী উপ-পরিদর্শক মো: কামাল, কনেষ্টল রুবেল, ইমন, রেজাউল’র সামারির বিষয়টি প্রকাশ পায়।
মহিপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো: সাইদুর বলেন, ’আমি ছুটি থেকে এসে ওসি স্যারের নির্দেশে কুয়াকাটার কানসাই হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ থেকে ২৫ পিচ ইয়াবা সহ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে মামলা দায়ের করি। ওসি স্যারের নির্দেশেই হয়েছে সব।’
মহিপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামন বলেন, ’এ ঘটনায় দু’জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অটককৃতদের শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নারীকে ছেড়ে দেয়ার যে বিষয়টি উঠেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
পটুয়াখালী জেলা পুলিশের সুপার মো: শহিদুল্লাহ’র কাছে বিষয়টি জানতে মুঠো ফোনে সংযোগ পাওয়া না গেলেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার আগে ভিডিওটি তাকে পাঠাতে বলেন।
এই বিভাগের আরও খবর....