পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলামের (২২) ডান হাতের কবজি কর্তনের ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮ জনকে আসামি বৃহস্পতিবার রাতে কলাপাড়া থানায় মামলাটি করেন রাকিবুলের মা রাহিমা বেগম।
পুলিশ জানায়, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলামকে মামলায় প্রধান আসামি করে তাঁর বড় ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম ওরফে রায়হানকেও আসামী করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর রাতেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি নোমান হাওলাদার, খলিল হাওলাদার,রুবেল শিকদার ও নয়ন বয়াতীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে আটককৃতদের মধ্যে নয়ন বয়াতীকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মামলার আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
এদিকে এ হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলামকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে গতকাল ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এ সিদ্ধান্ত নেয়। সংগঠনটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ গত বুধবার রাত নয়টার দিকে মিঠাগঞ্জ ইউপির আজিমুদ্দিন গ্রামের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রাকিবুলের ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষরা। একইদিন রাতে প্রতিপক্ষের পাল্টা হামলায় গুরুতর আহত হয় রায়হান। তাকেও ধারালো অস্ত্রদিয়ে দুই হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া নিয়ে গেলে ওই রাতেই তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তফিজুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামিদের দ্রæত গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।