সারাদেশে যখন নদী খাল দখলমুক্ত করতে সরকার কঠোরভাবে উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে। ঠিক সেই সময়ে সরকারের এ উদ্যোগকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চিংগড়িয়া খালকে চাষযোগ্য জমি দেখিয়ে ভরাটে নেেেমছে কলাপাড়া পৌর শহরেরর একটি প্রভাবশালী মহল এমনটিই দাবী এলাকাবাসীর। এদিকে খালটি দখলমুক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাপাড়া পৌরসভার চিংঙ্গড়িয়া খালটি বাঁধ দিয়ে দখলের পরে এখন স্থায়ীভাবে দখলের জন্য বালু দিয়ে ভরাটের কাজ শুরু করে। সোমবার সকালের দিকে উপজেলা ভূমি প্রশাসন বালু ভরাটের কাজ আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে। শহরের এই খালটি ভূমি অফিসের লোকজন চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে আশির দশকের মাঝামাঝি সময় এক ব্যবসায়ীকে কৃষকের তকমা লাগিয়ে বন্দোবস্ত দেয়। এ খাল আবার অনেকের কাছে বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে। এরপর বন্দোবস্তো গ্রহীতা খালে একাধিক বাঁধ দেয়ার কারণে খালের দুই পাড়ের বাসীন্দারা বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েন। বসতবাড়ি পর্যন্ত বৃষ্টির পানি আটকে প্লাবিত হয়ে থাকে। সবশেষ বিএস জরিপকারীরা বাস্তবতার
জীবন্ত খালকে ব্যক্তিগত জমি দেখিয়ে আরেক দফা চরম দুর্নীতি করে। বর্তমানে এ খালটি জনস্বার্থে রক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
এ খালের পাড়ের বাসীন্দা নজরুল ইসলাম সড়কের খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো: আমান উল্লাহ এ প্রতিনিধিকে জানায়, যে খালে এখনও ৫-৭ ফুট পানি রয়েছে। সেই খাল দখলরোধে এখনই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। খালটি রক্ষায় দ্রুত বন্দোবস্তো কেসটি স্থায়ীভাবে বাতিল করার জোড় দাবী জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বরিশালের সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন সাংবাদিকদের বলেন, খালকে চাষযোগ্য নাল জমি দেখিয়ে বন্দোবস্তো দেয়া এবং বর্তমানে পানির প্রবাহমান খালে বালু ফেলে ভরাট সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী।
কলাপাড়া সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: আল কাইয়ুম গনমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে খালে বালু ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বালু ফেলার পাইপ সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।