সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াকাটা পৌর এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকা জুড়ে তরমুজের ক্ষেত। কৃষকরা কেউ কেউ তরমুজ গাছের পরিচর্যা করছেন তরমুজ বড় করতে। আবার কোন কোন কৃষক আগাম চাষ করায় তাদের ক্ষেতে আগাম তরমুজ পরিপক্ক হয়েছে। পরিপক্ক এসব তরমুজ তুলে আগাম বিক্রি করে লাভবান হয়েছে। আগাম ফলনকৃত তরমুজ পাইকাররা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাক ও পিকআপ ভরে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।
নয়াপাড়ার চাষি মো. মনির হাওলাদার বলেন, প্রায় ৪মাস আগে ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রম করার পরে ক্ষেতে বাম্পার পলন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নিয়মিত সার দেয়া, নিড়ানী দিয়ে ক্ষেত পরিষ্কার করার পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমার পুরো ক্ষেতের তরমুজ ৩লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।
তুলাতলী গ্রামের চাষি মো. রাজ্জাক মুসল্লী বলেন, গত বছর করোনায় আমার অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে । এবছর আগাম তরমুজ চাষে ভালো ফলন হয়েছে। আড়াই একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। তরমুজ বিক্রি করে তার প্রায় ৩লাখ টাকা লাভ হয়েছে। চাষিরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হেক্টর প্রতি জমিতে তরমুজ চাষে দেড় লাখ টাকা লাভ হয়।
মহিপুর বন্দরের তরমুজ ব্যবসায়ী মো. কালাম বলেন, গত বছর করোনাকালীন তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে পারেননি তিনি। এবারে তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। দামও চড়া। তারা চাষিদের কাছ থেকে গড়ে প্রতিটি তরমুজ ২’শ থেকে আড়াইশ টাকায় ক্রয় করছেন। স্থানীয় বাজারে তা গড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মন্নান বলেন, কুয়াকাটা,লতাচাপলি. মহিপুর, নীলগঞ্জ ইউনিয়নসহ এ উপজেলায় ৩হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষনিক চাষিদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। এবারে বাম্পার ফলন হচ্ছে। আগাম তরমুজ চাষীরা বেশি দামে বিক্রি করতে লাভবান হয়েছে। তিনি আরও বলেন,কৃষকরা যাতে ন্যায্য মুল্যে তরমুজ বিক্রি করতে পারে এজন্য কৃষকদের পাশে থেকে কৃষি কর্মকর্তারা সহযোগিতা করছেন।