রাজবাড়ীর পাংশা রেলওয়ে কতৃপক্ষ ডিসিআর এর জাইগায় তৈরি ঘড় ও পৌরসভার তৈরি পাকা রাস্তা বন্ধ করে দিলো। তবে তা মানতে না রাজ রেলওয়ে কতৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাংশা রেললাইনের পাশে যুগ যুগ ধরে অবস্থিত টিনের ঘরে ব্যাবসা করে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে হঠাৎ করে স্থানীয় ব্যাবসায়ী চন্দন বিশ্বাসের রেলওয়ের পাশে থাকা টিনের ছাপড়া ভেঙ্গে দেন রেলওয়ে কতৃপক্ষ। এছাড়া ওই ছাপড়ার পাশ দিয়ে থাকা পৌরসভার তৈরি পাকা রাস্তা বন্ধ করে দেন রেল কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী চন্দন বিশ্বাস বলেন, আমি ২০২০ সাল পর্যন্ত লিজ কেটে আসছি, সরকারি ভেট, ট্যাক্স দিয়েছি এক কথায় সরকারি যা নিয়মিত আছে তা আমার করা আছে। তিনি বলেন যারা আমার ঘর ভাঙ্গলো তারা কি জেনে ভাঙ্গলো না, না কি না জেনেই ভাঙ্গলো।কোন স্থান ভাঙ্গতে গেলে নোটিশ করে বলে আমার ধারণা কিন্তু আমাকে নোটিশ তো দুরের কথা আমাকে জানানো হয়নি। তবে ঘর ভাঙ্গা শেষে আমি জানতে পেরে আসি, কতৃপক্ষ কে বলি আপনারা কেনো আমার ঘর ভাঙ্গলেন, এটা তো আমার ডিসি আরের সম্পত্তি। তখন আমাকে কাগজ দেখাতে বলে আমি কাগজ দেখালে তারা বলেন আপনি তো ২০২০ সাল পর্যন্ত লিজ কাটছেন, আমি তখন বলি আমি তো এই বছরের খাজনা দিবো, এখন তো খাজনা নেওয়া বন্ধ আছে জুনে আমি খাজনা দিবো। তবে আমি তাদের বলি আপনি কোন আইনে আমার ঘর ভাঙ্গলেন,যদি খাজনা নেওয়ার থাকতো নোটিশ করতেন সেটা তো করেন নাই। তখন ওই কমকর্তা বলেন আমার আওতায় পড়ছে ভেঙ্গে দিছি এই বলে তারা তারি স্থান ত্যাগ করছে।
চন্দন বিশ্বাস আরো বলেন, পাংশার কিছু স্টাফ আমার কাছ থেকে টাকা খাওয়ার জন্য ঘুরছে কিন্তু আমি পাত্তা না দেওয়ায় তারা এই কাজ করছে। তিনি বলেন পাংশা রেলওয়ে স্টাফরা আমার জানামতে আমার পাশের দোকান থেকে টাকা নেয়।
চন্দন বিশ্বাস দাবী করেন কোয়ার্টার ভেঙ্গে মার্কেট হলো সেটা তো ভাঙ্গলো না তাদের তো লিগাল প্রেপার নাই যদি থাকে সেটা কই, কিন্তু আমার লিগাল কাজ থাকার পরও আমার ঘর ভাঙ্গা হলো।
স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের কে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে বলেন, আমাদের চলাচলের দুর্ভোগের কারণে পৌরসভা থেকে একবছর আগে এই রাস্তা পাকা করে দিয়েছে, কিন্তু জানিনা কি কারণে হঠাৎ ৩০ জানুয়ারি পাংশা পৌরসভা নির্বাচনের দিনে রেলওয়ে কতৃপক্ষ রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমাদের চলাচলের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি।
এ বিষয়ে পাংশার স্টেশন মাস্টার জীবন বৈরাগী বলেন, আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাকে রাস্তা বন্ধের নির্দেশ দেন আমি সেটাই পালন করেছি। ঘর ভাঙ্গার বিষয়ে বলেন চন্দন বিশ্বাস এর ঘরটা ফন্ট পজিশনে থাকায় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি তে পড়ে যার জন্য কর্তৃপক্ষ এই ঘরটি ভাঙছে।