বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
পাংশায় ১২০টি ঘর পেলো উপকার ভোগী পরিবার ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হলো রাজবাড়ী ৩ উপজেলা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নবনির্মিত মডেল মসজিদে বিস্ফোরণ খুনের হুমকি দেওয়ায় আজম মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় লিখত অভিযোগ তোমাদেরকেই এই দেশ এগিয়ে নিতে হবে: সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কালুখালীর হাঁড়ীভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে জিল্লুল হাকিমের ম্যুরাল উদ্বোধন ও আবুল মাহমুদ একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন জিল্লুল হাকিম উত্তরায় ২৫০ টি অবৈধ স্হাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে রাজউক মিরপুরে ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার: দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার রাজবাড়ীতে মাটির ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

তিন দিবসকে সামেনে রেখে ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির প্রস্তুত ফুলের রাজধানী গদখালীতে

প্রতিবেদকের নাম / ৪০৯
নিউজ আপঃ সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ২:৪৬ অপরাহ্ন

মোঃ সাগর হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: বসন্ত উৎসব, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে মহাব্যস্ত সময় পার করছে ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের গদখালির ফুল চাষিরা। ফুলের ক্ষেত থেকে সময়মত পর্যাপ্ত ফুল পেতে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এ তিন দিবসে ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ এলাকার ফুলচাষিরা দিন রাত ফুল ও ফুলগাছের পরিচর্যা করছেন। যা আগে বছরে লক্ষ মাত্রা ছিল ৩৫ কেটি টাকা। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে গদখালির চাষিরা বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ফুল বাজারে সরবরাহ করতে শুরু করেছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পয়লা বসন্ত, পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দু’টি দিবসে প্রিয়জনের মন রাঙাতে মুখিয়ে আছেন দেশের তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ। প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে ফুলই শ্রেষ্ঠ। মানুষের মনের খোরাক মেটাতে গদখালীতে চাষিরা এখন দিনরাত পরিশ্রম করছেন। ফুল দেরিতে ফোটাতে গোলাপের কুঁড়িতে পরিয়ে রাখছেন ‘ক্যাপ’। ফলে বসন্ত দিবস, ভালোবাসা দিবস আর ২১ ফেব্রুয়ারিতে ফুল বাজারে দেওয়া নিশ্চিত হবে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে গোলাপ, গাঁধা, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাসসহ নানা রঙের ফুল। চোখ ধাঁধানো এই সৌন্দর্য কেবল মানুসের হৃদয়ে অনাবিল প্রশান্তিই আনে না, ফুল চাষ সমৃদ্ধিও এনেছে অনেকের জীবনে। ফুলেল স্নিগ্ধতায় এখন ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের। তার অন্তত ৭০ শতাংশই যশোরে উৎপাদিত ফুল। তবে এবারের ভালোবাসা দিবসে ফুলের যেমন উৎপাদন বেশি। তেমনি চাহিদা অন্য যেকোনো বারের তুলনায় বেশি। তাই শহর-নগরের ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী ফুলের অর্ডার নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ক্ষুদ্র পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, সামনে ভ্যালেনটাইনে ডে’তে ফুল বিক্রি বেশি হবে। বাজারে জারবেরা, গোলাপ, রজনীগন্ধা ফুলের চাহিদা বেশি। কৃষকরাও দাম ভালো পাবে। ফুলের রাজধানী গদখালী। কেউ কেউ ফুলের রাজধানী গদখালীকে ফুলের গ্রামও বলে থাকে। যশোর জেলার ঐতিহাসিক গদখালীর বিস্তৃর্ণ এলাকা পানিসারা, হাড়িয়া, পটুয়াপাড়া, টাওড়া, মাটিকোমরা, বাইসা, কাউরিয়াসহ অসংখ্য গ্রামের মাঠ জুড়ে শুধু ফুলের বাগান। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, গ্যানেডোলা, চন্দ্রমল্লিকাসহ অসংখ্য দেশী বিদেশি ফুলের সমারোহ। ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে ১৯৮২ সালে বাণিজ্যিক ভাবে ফুলের চাষ শুরু হয় । রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আনুমানিক ৫২টি জেলায় সরবরাহ করা হয় গদখালীর এই বিভিন্ন জাতের ফুল। ফুলের রাজধানী, ফুলের রাজ্য বা ফুলের গ্রাম এই গদখালীতে প্রায় ৬ হাজার ফুল চাষী ঝিকরগাছা ও এর আশে পাশের এলাকা জুড়ে ১৫শ থেকে ১৬শ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করছে। ফুল চাষে বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হওয়ায় আরো অনেক চাষি এ পেশায় ঝুঁকছেন। ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাস বলেন, বিদায়ী ২০১৮ সালে শুধু গদখালি থেকে ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়। এবছর তা ডবল অতিক্রম করবে বলে আশা করছি। ফুল চাষকে লাভজনক করে তুলতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক মানের ফুল হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে গদখালীতে উৎপাদিত গ্লাডিওলাস, জারবেরা ও রজনীগন্ধা। তিনি বলেন, ভারত, সৌদি আরব, মালায়েশিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশের থেকে বাংলাদেশের গদখালীতে উৎপাদিত ফুল অনেকাংশে উন্নত। ফুল রফতানির জন্য সবথেকে বেশি সমস্যা পরিবহন ব্যবস্থা। বিভিন্ন ট্রাক, বাসের ছাদে ও আলম সাধুতে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ফুল পাঠানোতে অনেক ফুল নষ্ট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু সময় লোকসানের মুখে পড়তে হয়। ফুল রফতানি বাড়াতে ভভিষ্যতে পরিবহন ব্যবস্থা সুন্দর হলে আগামীতে ফুল উৎপাদনে আরো সফলতা পাওয়া যাবে এবং তা থেকে প্রতি বছর গদখালীর ফুল চাষীরা হবে লাভবান ও সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করবে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর