রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের রাজশাহীতে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শশুরকে হত্যার চেষ্টা, প্রতিবাদে মানববন্ধন কলাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গায়েব করার হুমকী দেয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়রী
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

বিবাহিত এক সরকারি চাকুরীজীবীর দখলে ছাত্রলীগের সভাপতি পদ

রিমন সোহেল ঢাকা জেলা প্রতিনিধি: / ৩৩৮
নিউজ আপঃ রবিবার, ৬ জুন, ২০২১, ৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারি কর্মচারী নুরুজ্জামান নুরের দখলে আশুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদ। নুরুজামান সরকারী চাকরি জীবি অন্যদিকে বিবাহিত হয়ে কি করে ছাত্রলীগের নেতা বা সভাপতি দায়িত্ব পালন করে। তিনি সরকারী চাকরি জীবি হয়ে তথ্য গােপন রেখে গঠনতন্ত্র ও সরকারি চাকরির বিধি আইন পরিপন্থি কাজ করে প্রতারণা করছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশ, বিবাহিতদের ছাত্রলীগের কোনও পদ দেওয়া যাবে না। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান বাদল স্ত্রী-সন্তান রেখে মারা যাওয়ার পর এই নির্দেশ জারি করেন তিনি। অথচ প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পরও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন বিবাহিত নেতা-নেত্রীর খোঁজ পাওয়া গেয়েছে।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, অনূর্ধ্ব ২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র বা ছাত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য হতে পারেন। প্রতি শিক্ষাবর্ষে সদস্যপদ নবায়ন করা বাঞ্ছনীয়।প্রাথমিক সদস্যের ক্ষেত্রে ২৭ বছর হলেও নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ২৯ বছর পর্যন্ত।
কোনও সরকারি চাকরিজীবী ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না, সে কথাও পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যে কোনও নিয়মিত ছাত্র (৫ এর ক উপধারা অনুযায়ী) ছাত্রলীগের কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য হতে পারে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত কোনও ছাত্র ছাত্রলীগের কর্মকর্তা হতে পারবে না।
বিবাহিতদের বিষয়ে গঠনতন্ত্রে কিছু বলা নেই। তবে শেখ হাসিনার নির্দেশের কারণে বিবাহিতদের কোনও পদে না রাখা অলিখিত নিয়ম বলেই মনে করা হয় ছাত্রলীগে। যদিও সেই ‘নিয়ম’ মানা হচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রেই। দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন চাকরিজীবীরাও।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারি কর্মচারী নুরুজ্জামান নুর আশুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।
এদিকে আশুলিয়া ইউনিয়নে পদ বঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নুরুজামান সরকারী চাকরি জীবি অন্যদিকে বিবাহিত হয়ে কি করে ছাত্রলীগের নেতা বা সভাপতি দায়িত্ব পালন করে। তিনি সরকারী চাকরি জীবি হয়ে তথ্য গােপন রেখে গঠনতন্ত্র ও সরকারি চাকরির বিধি আইন পরিপন্থি কাজ করে প্রতারণা করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।
আশুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান নুর সরকারী চাকরিতে নিয়ােজিত শুধু নন, বিবাহিত । ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারায় বলা আছে, সরকারী চাকরিতে নিয়ােজিত কোনাে ছাত্র-ছাত্রী সংগঠনের সদস্যপদ পাবেন না।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী (সহকারি কর্মচারী) নুরুজ্জামানকে মুঠো ফোনে কল করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন,আমি যখন বিষয়টি শুনেছি তখনই এই পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। প্রতিবেদককে সরাসরি দেখা করে কথা বলবেন জানিয়ে দিয়ে পরপরই ফোনটি রেখে দেন, পরবর্তীতে প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে অনেক ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন বিবাহিত সরকারি চাকরিজীবী আশুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান নুর।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম বলেন, নুরুজ্জামান আগে ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিল। গত ১১ ফেব্রুয়ারি নুরুজ্জামানকে সভাপতি করে কমিটি ঘােষণা করা
হয়। তবে নুরুজ্জামান সরকারি চাকরিজীবি বিষয়টি আমরা শুনছিলাম সাংবাদিরা এই নিয়ে লেখালেখি করছিল। এরপর তো আমাদের কমিটি বাতিল হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদাকে মুঠো ফোনে কল করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন নুরুজ্জামান সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে নুরুজ্জামান ছাত্রলীগের সভাপতি বা নেতা কিনা তিনি বিষয়টি জানেন না ।প্রতিবেদক এর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিভিল সার্জন স্যার নিজে তদন্ত করেছেন। সিভিল সার্জন স্যার তদন্ত করে নিষ্পতি দিয়েছেন।
এ ব্যপারে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মােঃ মইনুল হাসান জানান, সরকারি চাকরি করা কালীন কোন সরকারি।কর্মকর্তা প্রতিষ্টানের সংগঠন ছাড়া অন্য কোন ছাত্র বা কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন না। তবে তথ্য প্রমান পেলে তিনি বিষয়টি ক্ষতিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়ে
ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর