রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাময়িক বরখাস্ত প্রাপ্ত মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট মনোয়ার হোসেন জনিকে কুপিয়ে জখম করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার খলিল ড্রাইভার এর ছেলে।মনোয়ার হোসেন জনি এখন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৭.৫০ নাগাদ হাসপাতালের মধ্যেই হামলার শিকার হন মনোয়ার হোসেন জনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়, মাস্ক পরিহিত একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি ভাবে মনোয়ার হসেন জনি কে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। এছাড়াও তার মাথায় গুলি করা হয়।
এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে মনোয়ার হোসেন জনি বলেন, তায়জাল বাহিনীর প্রধান তায়জাল সহ ১০/১৫ জন্য অস্ত্রধারি সন্ত্রাস প্রথমে হাসপাতালে ঢুকেই প্রতিটি ডাক্তার ও অন্যান্য দের বন্দুক দেখিয়ে রুমে ঢুকায়। এর পর তাজুল প্রথমে আমাকে পেছন থেকে গুলি করলে আমি ফ্লোরে পরে যায়। পরে আমাকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপাতে থাকে। এছাড়াও খুড় দিয়ে তাজুল আমার পায়ের রগকেটে দেয়।কে কে ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাজুল, তাজুলের আপন ছোট ভাই, রুবেল, হাবিল, নাসির, বারেক মোড়ের ডেকোরেটর ব্যাবসায়ী শাহিন সহ আরো ১০/১৫ জন ছিলো। আমি মার খাওয়ার পরে জানতে পারি হাসপাতাল গেটে বন্দুক দেখিয়ে লোক আটকানো হয় সেখানেই।
অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায় ঘটনার সময় হাসপাতাল হাসপাতাল এর বাইরের এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। এ বিষয়ে বিদ্যুতের পাংশার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলেন, প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামরিক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও যখন স্বাস্থ্যের অবনতি হয় তখন তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ হাসান আল মতিন বলেন, গত বুধবার রাত আটটার দিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জরুরি বিভাগের টেবিল ও সিকিউরিটি গ্লাস ভেঙ্গে তছনছ করে এবং সেখানে অবস্থানরত মনোয়ার হোসেন জনির উপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে কোন সিসি ক্যামেরা নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার কাছে এখনো কেউ লিখত ভাবে অভিযোগ দেয়নি, তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের ব্যপারে পাংশা থানা পুলিশ তৎপর।