রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় অতর্কিত হামলায় আনিসুর রহমান নামে একজন আহত হয়েছেন। আহত আনিসুর রহমান পাংশার মাদুলিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর তাঁকে পাংশা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ৯ মার্চ সকাল ৭ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমান তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের (২০) কাছ থেকে তালাক পাওয়ার পরবর্তী সময়ে পূর্ব পরিকল্পনার সাথে তার স্ত্রী, পরিবারের লোকজন নিয়ে গত ৯মার্চ আনিসুর রহমানের উপর হামলা চালায়। এক্ষেত্রে যাদের অভিযুক্ত করেছেন আনিসুর রহমান তারা হলেন, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, ফিরোজা বেগম (৪৮), ফরহাদ প্রামাণিক (১৯). আজিজ প্রামাণিক (৫৫), আব্দুর রাজ্জাক প্রামাণিক (৫৮) এবং ইউনুস প্রামাণিক। অভিযুক্তরা সকলেই পাংশা থানার মৌরাট ইউনিয়নের হরিনাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
এব্যাপারে হামলার শিকার আনিসুর রহমান বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পূর্ব থেকেই আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। তারা আমাকে কখনোই ভালো চোখে দেখতেন না। অনেক দিন ধরেই দুই পরিবারের মধ্যে মনমালিন্য চলছিল। আমি এ থেকে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করছিলাম। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘুরেছি, অনেক পথ অবলম্বন করেও যখন এর সমাধান মিলছিল না। একটা সময় আমার স্ত্রী জান্নাতুল আমাকে তালাক প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, স্ত্রী কর্তৃক একতরফা তালাকের নোটিস প্রদান করার পর (আমি আনিসুর রহমান) নির্যাতনের স্বীকার। যেটা আমর স্ত্রী কোন নিয়ম না মেনেই আলাদা হয়ে আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে গুম করার চেষ্টা করে ছিল, পরে স্হানীয় লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে পাংশা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে ছিল। আমাদের বাড়ি -ঘর ভাংগচুর করেছে এবং তার ভাই ফরহাদ প্রামাণিক পিতা আজিজ প্রামানিক, চরহরিণাডাংগা পাংশা, রাজবাড়ি, ফরহাদ বাহিনীর চিপ ইন কমান্ডার, ফরহাদ প্রামাণিক আমাকে গুলি করে পঙ্গু করার হুমকি জারি করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন বলেন, এই হামলার ঘটনার ব্যাপারে হামলার শিকার আনিসুর রহমান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।