আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য’ হওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত হয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমেরিকার নির্বাচন তাদের আইন দিয়ে হয়, আমাদের নির্বাচন আমাদের আইন দিয়ে হয়। আমেরিকার নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা যেটা বলা হয়, সেটা কথার কথা।’
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সিইসি নিজেই আশ্বস্ত হওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এর আগে ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে নিজের ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে সিইসি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চার থেকে পাঁচ দিনে ভোট গুনতে পারে না। আমরা চার থেকে পাঁচ মিনিটে গুনে ফেলি। যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের কাছে শেখার আছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের ভালো দিকগুলো থেকে আমাদেরও শেখার আছে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিজিবি, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার ১৬ জনের বক্তব্য আমরা শুনেছি। নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে তারা সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। প্রত্যেকে আশাবাদী যে, ২৭ জানুয়ারির চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্টু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা আশ্বস্থ হয়েছি যে বিভিন্ন পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগ মোতোয়েনটা সঠিকভাবে হয়েছে। আশা করি নির্বাচন ভালো হবে।’
সিইসি বলেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করবেন, কিন্তু সেটা সহনশীল পর্যায়ে। এই নির্বাচন উপলক্ষে কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তির জীবন চলে গেছে। এভাবে সংঘাত–সংঘর্ষে জীবন চলে যাবে, এটা হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘তবে মেয়র প্রার্থী এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের ধন্যবাদ যে এই নির্বাচনকে আপনারা উৎসবমুখর করেছেন। নির্বাচন ভোটারদের পছন্দের বিষয়, সেটা চসিক নির্বাচনে প্রতিফলিত হয়েছে বলে আমার উপলব্ধি।’
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের কোনো প্রয়োজনীয়তাও কমিশন অনুভব করছে না। যেখানে ইভিএমে ভোট হবে সেখানে সশস্ত্র পুলিশ পাহারা থাকবে। ভেতরে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়া সেটা সম্ভব না।’
বাসায় গিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানির বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিষ্প্রয়োজনে হয়রানি করছে এমন কোন অভিযোগ আমাদের নেই। যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে এবং আদালতের ওয়ারেন্ট আছে অবশ্যই পুলিশ তো তাদের গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা করতে পারে। নিরপরাধ কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাদের অভিযান নেই।’