বিশ্বের অনেক দেশ করোনা সংকটের ধাক্কা একবার সামলাতে পেরেও সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারে নি৷ চীনেই প্রথম বড় আকারে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর সে দেশ কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্ভ্রম আদায় করেছে৷ কিন্তু এবার দেশের উত্তর পূর্বে মাঞ্চুরিয়া অঞ্চলের হেইলংজিয়াং প্রদেশে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ আপাতত দৈনিক প্রায় ৪৩ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়লেও পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির আশঙ্কায় সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে৷ হেবেই প্রদেশেও সংক্রমণ বাড়ছে৷ ফলে প্রায় দুই কোটি আশি লাখ মানুষ কড়া লকডাউনের মধ্যে রয়েছেন৷ মূলত গ্রামাঞ্চলে এমন কড়া পদক্ষেপ কার্যকর করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে৷
বিশেষ করে নববর্ষের জাতীয় ছুটির মরসুমের ঠিক আগে এমন সংকট সামলানো কঠিন হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ কোটি কোটি মানুষ এ সময়ে ভ্রমণের তোড়জোড় করছেন৷ কিছু প্রদেশের কর্তৃপক্ষ ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে৷ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে চীনের গত প্রায় দশ মাসের সাফল্য হুমকির মুখে পড়তে পারে৷
এমন এক সময়ে চীনে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের দল করোনা মহামারির উৎস সন্ধানে উহান শহরে এসেছেন৷ দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন-সহ মোট এক মাস ধরে তাঁরা সেখানে তদন্ত চালাবেন৷ চীনের বিজ্ঞানীরাও তাঁদের সহায়তা করবেন৷ অনেক টালবাহানার পর চীন এই প্রতিনিধিদলের যাত্রার অনুমোদন দিয়েছে৷ উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বে করোনা সংকট ছড়িয়ে পড়ার জন্য অনেক মহলে চীনকে দায়ী করা হলেও সে দেশ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ ফলে ভাইরাসের উৎস সন্ধান রাজনৈতিক পর্যায়ে স্পর্শকাতর এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷