ইতালি ফেরতরা জানান, করোনার উচ্চ সংক্রমণের কারণে ৭ জুলাই ইতালিতে বাংলাদেশিদের প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও কাতার এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে তাদের অভয় দেয়া হয়। মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বলা হয় কোনো সমস্যা হবে না। সেই আশ্বাসের ভরসায় ৮ জুলাই ইতালি গিয়ে বিপদে পড়তে হয়েছে তাদের। আবার দেশে ফিরে আসায় অর্থনৈতিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তেমন হয়রানিও হয়েছেন। গত ২ দিনে ঠিকমতো খেতেও পারেননি তারা। আশকোনার হাজি ক্যাম্পের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এনে ইতালি ফেরত ১৪৭ বাংলাদেশিকে গণরুমে থাকতে দেয়া হয়েছে। ১০ জন নারীকে একটি ও ২৫ জন পুরুষকে একটি রুমে রাখা হয়েছে। আসার পরই খেতে দেয়া হয়েছে ডিম খিচুড়ি। তবে এসব নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তাদের। কেননা গত দুদিনের অনেকটা না খাওয়াই থাকতে হয়েছে তাদের।
তবে দেশে ফিরে আসার পর প্রথমে তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এতে কোনো লক্ষণ না পেলেও ১৪৭ জনকে আশকোনার হজ ক্যাম্পের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জানানো হয় আগামী ১৪ দিন বাধ্যতামূলক তাদের থাকতে হবে সেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।
এর আগে, রাত ২.৩৫ মিনিটে ৩৭২ জন যাত্রী নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি। বিমানে থাকা অন্য যাত্রীদের ছেড়ে দেয়া হলেও রেখে দেয়া হয় ইতালি ফেরত ১৪৭ জনকে। পরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সেনা নিয়ন্ত্রণে তাদের নেয়া হয় আশকোনার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। এর মধ্যে ৫০ জন নারী ও ২ জন শিশুও ছিল।
এসময় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোয়ারেন্টাইনে ইতালি ফেরতদের আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে রাখা হবে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।