মামলার সূত্রে জানা যায়,দ্বীন-মোহাম্মদ দুখু ও তার দুই ছেলে নিহত রিদওয়ান হৃদয়,সাব্বির আহম্মেদ বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়ার (কলিগ্রাম) নিজ বাড়ির মেহগনি গাছের ডাল কাটছিল। এ সময় বাড়ির পাশের রকসেদ আলীর ছেলে সাদেক আলী (৬৫) ওই গাছটি তার জমির উপর দাবি করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক- বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাদেক আলী, তার ছেলে সুজন আলী, স্ত্রী রুমিয়া বেগম, ছেলে বউ তাজমিরা বেগম, কল্পনা খাতুন, ফরিদ উদ্দিনসহ আরো অনেকে দলবদ্ধভাবে হাতুরী ও লোহার রড-লাঠি দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এই হামলায় দ্বীন-মোহাম্মদ দুখু, তার স্ত্রী শাহানাজ বেগম, ছেলে রিদওয়ান হৃদয়, সাব্বির আহম্মেদ, মেয়ে শারমিন খাতুন জখম ও আহত হয়। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরমধ্যে রিদওয়ান হৃদয়ের অবস্থা গুরুতর হলে তাৎক্ষনিক তাকে ঢাকার একটি হাসাপাতালে স্থানান্তর করে। হৃদয়কে মাইক্রোতে করে ঢাকা রওনা হলে পথে সন্ধ্যা ৭.৩০ টার দিকে মৃত্যু হয়।
হৃদয়ের মৃত্যুর ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাদেক আলীসহ ৪ জনকে আটক করে।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি বুধবার রাত ১০টার দিকে জানার পর পরই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। লাশ তার বাড়ি থেকে থানায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২জুলাই) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।৫জন আসামীকে গ্রেফতার করেছি।অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।