হাবিল উদ্দিন,বাঘা,রাজশাহীঃ রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় পুষ্টি গুনে ভরা কচি তালের শাঁস এখন সস্তায় বিকিকিনি হচ্ছে।গ্রীষ্মকালীন তাল নামক ফলটি মানুষের খাবার দাবারে নানাবিধ ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। ঐতিহ্যবাহী বাঘার মানুষের পাকা তাল ও কাঁচা তালের শাঁস অতিপ্রিয় একটি খাবার। তবে এই মৌসুমে তালের শাঁসের কদর অনেকটা বেশি।লক্ষ্য করা গেছে,বাঘা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার,রাস্তার ফুটপাত ও মোড়ে মোড়ে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস।প্রতিটি তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪-৬ টাকায়।যদিও আকার অনুসারে এর দাম কম বেশি হয়ে থাকে।গ্রাম বাংলার সবখানেই দেদারসে বিক্রি হচ্ছে কচি তালের শাঁস।ধনী ও গরীবের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সকলের কাছে লোভনীয় এই খাবারটি কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন।ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কচি তালগুলো কেটে শাঁস বের করে দিচ্ছেন দোকানিরা।এতে করে শিশু থেকে বৃদ্ধরাও শাঁস নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে পরছেন।এছাড়াও তালের শাঁস মানব দেহের জন্যও বেশ উপকারী একটি খাবার। এ শাঁস কিনতে আসা লিটন ইসলাম(৩০) বলেন, কচি তালের শাঁস খুবি সুস্বদু একটি খাবার। আমি কিনে আমার পুরো পরিবারের জন্যও নিয়ে যায় সময় পেলেই। আমার বাড়ির ছোট বড় সকলেই তা খুবি পছন্দ করে।শাঁস বিক্রেতা উজ্জল আলী (৪৫) বলেন,তিনি প্রতিবছরই এই সময়ে তালের শাঁস বিক্রি করেন।তিনি ২-৩ টাকায় পাইকারি কিনে বিভিন্ন যায়গায় খুচরা বিক্রি করেন।প্রায় পুরো মাস ব্যাপী শাঁস বিক্রি করে তার আয় ভালোই হয়।প্রতি ১০০গ্রাম তালের শাঁসে রয়েছে ৮৭ কিলোফ্যানারী,৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৮৭.৬ গ্রাম পানি,০.৮ গ্রাম আমিষ,০.১ গ্রাম ফ্যাট,১০.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট,১ গ্রাম খাদ্য আশ,৩০ মিলিগ্রাম ফসফরাস,১ মিলিগ্রাম লৌহ,ও ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন। তালের শাঁস শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে।শাঁসে বিদ্যমান ভিটামিন বি ও সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি লিভারের সমস্যা, রক্তশুন্যতা দূরীকরণসহ ত্বকের যত্নেও বেশ উপকারী।