শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
জামাল হত্যা মামলার বাদী ইমরানের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হরিলোট প্রতিবাদে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

রাজবাড়ীতে নদী ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলী জমি দিশেহারা চাষীরা।

প্রতিবেদকের নাম / ৩৬৪
নিউজ আপঃ শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০, ৬:১৯ অপরাহ্ন

আনোয়ারুল ইসলাম (আনোয়ার) রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে নদী ভাঙ্গনে শত শত বিঘা ফসলী জমি বিলিন হয়ে যাচ্ছে। গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে নতুন করে জেলার গোয়ালন্দ, সদর ও কালুখালী উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি চাষিরা আবাদী জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। আর এ কারনে দিন দিন কমে যাচ্ছে আবাদী জমি। ব্যহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। বিগত ৬ থেকে ৭ বছর ধরে দেদারছে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি,ফসল ও বিভিন্ন স্থাপনা। প্রতি বছর নদী ভাঙ্গনে রাজবাড়ী জেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চল ক্রমান্বয়ে বিলিন হয়ে ছোট হয়ে আসছে এর মানচিত্র।
নদী তীরবর্তী অঞ্চলের উর্বর বিভিন্ন ধরনের আবাদী জমিতে ধান,পাট,তিল ,বাদাম ,ভুট্টা,পটল,টমেটো,মরিচ সহ সব ধরনের সবজি চাষ হত। কিন্তু এ ফসলী জমি ক্রমান্বয়ে নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে এ অঞ্চলের কৃষি জমি এখন নেই বল্লেই চলে। কালের বিবর্তনে এখানকার জনবসতি ফসলী জমি গুলো নদীতে বিলিন হয়ে পদ্মা নদী আরো প্রসারিত হয়েছে আর নদী তীরবর্তী এলাকা গুলো ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। অথচ একসময় এ নদী অঞ্চলের উৎপাদিত ফসল রাজবাড়ী জেলা সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হত। যে পরিমান কৃষি জমি রয়েছে তাও এখন পদ্মার ভাঙ্গনে বিলিন হতে চলেছে। ভাংতে ভাংতে এসব অঞ্চলের কৃষকেরা এখন দিশেহারা। একদিকে বাড়ি ঘর ভাঙ্গনে মাথা গোজার ঠাই হারিয়ে নিঃস্ব অন্যদিকে কৃষি জমি ও ফসল হারিয়ে নিঃস্ব জীবন যাপন করতে হচ্ছে নদী ভাঙ্গন কবলিতা এসব মানুষদের। এখনও অবশিষ্ট এ জমি গুলো আকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চান এখানকার খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ । তবে সব সময়ই তাদের একটি দাবী থাকে এ নদী ভাঙ্গন অঞ্চল যেন সরকার দ্রুত রক্ষা করার ব্যবস্থা করে দেয়।
রাজবাড়ী জেলাটি পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত,এই পাঁচটি উপজেলাই নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা রয়েছে প্রচন্ড। এর মধ্যে গোয়ালন্দ,রাজবাড়ী সদর ,কালুখালী ও পাংশা এই চারটি উপজেলা পদ্মা নদী তীরবর্তী হওয়ায় প্রতি বছরই এখানকার ফসলী জমি ও মানুষের বাড়ি ঘর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। নদী র্তরবর্তী এ অঞ্চল গুলোতে প্রায় লাখো মানুষের বসবাস। নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে ফসল ,ফসলী জমি ও ঘরবাড়ি বিলিন হয়ে এখানকার সাধারন মানুষ কষ্টে জীবন যাপন করছেন। আর বর্ষা মৌসুম এলেই তারা আতঙ্কে থাকেন নদী ভাঙ্গনের কবলে পরার। গত বছর ছোট ভাকলা এলাকার অন্তার মোড় বেড়ি বাধ রক্ষায় ভাঙ্গন রোধে সিসি ব্লক ফেলা হয়েছিল কিন্তু এবছর ভাঙ্গনে সেখানে সিসি ব্লক থেকে বাঁধের প্রায় ১শত ফুটেরও বেশি স্থান নদী ভাঙ্গনে ইতমধ্যে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলার ,দেবগ্রাম, দৌলতদিয়, ছোটভাকলা, সদরের বরাট,মিজানপুর,কালুখালীর রতনদিয়া ও কালিকাপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদী তীরবর্তী অঞ্চল গুলোতে। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ’ অসহায় মানুষেরা বলছেন প্রতি বছরই তাদের ফসলী জমি ,ফসল নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। এতে তারা কৃষি জমি ও ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে যে পরিমান নদী ভাঙ্গন হচ্ছে এতে তাদের আবাদ করা কৃষি জমি ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে। ধান,পাট,বাদাম,তিল টমেটো,পাটল সহ সব ধরনরে ধরন্ত কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীনের ফলে আর্থিক ভাবে লোকসানে পরছেন। অথচ এখনও পর্যন্ত তাদের এ অঞ্চল নদী রক্ষায় কোন পদক্ষেপ নেয়নি কতৃপক্ষ। অতি দ্রুত সরকারের কাছে এ ভাঙ্গন এলাকা রক্ষার দাবী জানান ভাঙ্গন কবলিতরা।
গোপল কৃষ্ণ দাস-উপ পরিচালক কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর রাজবাড়ী তিনি বলেন, রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলার চারটি উপজেলাই পদ্মা নদী বেষ্টিত। পদ্মা সংলগ্ন হওয়ায় প্রতি বছরই আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এবছরও কয়েকদিন ধরে নদী ভাঙ্গনে আবাদী বাদাম,পাট,তিল ও বিভিন্ন সবজির ১৫ হেক্টর ( ১শত বিশ বিঘা) ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে আবাদী জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে তারা চেষ্টা করছেন এক ফসলী জমিতে দুই ফসল এবং দুই ফসলী জমিতে তিন ফসল আবাদ করে কৃষির এ ঘাটতি পুষিয়ে নিতে এ জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।শফিকুল ইসলাম শেখ-নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ী,তিনি বলেন দৌলতদিয়া ঘাটের উজানে ভাঙ্গন কবলিত স্থানে নদী ভাঙ্গন রোধে পক্রিয়া শুরু করেছেন। ইতমধ্যে ৩জন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে আশা করছেন দৌলতদিয়া ইউনিয়নে ভাঙ্গন স্থানে কাজ শুরু করা হবে।তবে দেবগ্রাম ও ছোট ভাকলা ইউনিয়ন সহ অন্যান্য স্থানে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে তা রোধে তিনি বলেন এ স্থানে যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকে এবং তাদের সম্ভব হলে সেখানে ভাঙ্গন রোধে কাজ করবেন। ইতমধ্যে এ স্থানের যদু মাতবরের পাড়া এলাকায় ভাঙ্গন রোধে কাজের নির্দেশনা পেয়েছেন বলে জানান।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share