এম আহাসানুর রহমান ইমন শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি:- যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, আমরা চাই নারীর অর্থনৈকিত মুক্তি, নারীর সামাজিক মর্যদা। নারীর সন্মিলিত একটি ঐক্যে প্রয়োসের মধ্যে দিয়ে বেনাপোল পৌরসভা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে আমাদের নারীরা সন্মানিত হবে এটা আামাদের প্রত্যাশা। নারীকে বাদ দিয়ে কোন রাষ্ট্র এগোতে পারেনি। সমস্ত মর্যদাশীল বিত্তবান রাষ্ট্রগুলো যত আগে নারীকে সন্মান দিয়েছে মর্যদা দিয়েছে সেই রাষ্ট্র গুলো তত দ্রুত সন্মান ও মর্যদাশীল হয়েছে। কথাগুলো বললেন বেনাপোল পৌরসভা কনফারেন্স রুমে এডিবির সহযোগিতায় ইউজি আইআইপি- থ্রি প্রকল্পের সমন্বিত বৈঠকে সভাপতি মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় বেনাপোল পৌরসভা ভবনের কনফারেন্স রুমে মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আরবান ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিষ্ট (স ডাব্লিউ ইউ ডাব্লিউ) লাক্সমি, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার (ব আর এম) মো শহিদুল ইসলাম প্রজেক্ট স্পেশালিষ্ট ( সা আ ইউ ডাব্লিউ) চার্লিনি লিয়াও, প্রজেক্ট ডিরেক্টর রেজাউল ইসলাম ( ইউজি আই আই পি-২) এডিডিব কনসালটেন্ড মোঃ রফিকুল ইসলাম, বেনাপোল কাস্টমস এর অতিরিক্ত কমিশনার ড. নিয়ামুল হোসেন, বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মামুন খান প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় ইউজি আই আইপি – থ্রি প্রকল্পের কর্মকর্তারা বেনাপোল পৌর সভার স্বাস্থ্য কর্নার, নারী কর্নার, আইটি কর্নার ও স্পোর্টস কর্নার পরিদর্শন করেন। এবং এই পৌর সভার শ্রেষ্ট আত্ননির্ভরশীল নারী বুলিনা খাতুন ও শিউলি রানীর দে সরকারের দেওয়া পুরস্কার ও সনদপত্র দেখে খুশি হন। এবং ওই দুইজন নারীর সাথে তারা ছবি তোলেন। এছাড়া নারীদের হাতে তৈরীর কাজও দেখেন।
প্রধান অতিথি লাক্সমি শর্শা বেনাপোল পৌর সভার উন্নয়ন, এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা সহ নারী উন্নয়নের কাজ দেখে প্রশংশা করেন। তিনি বলেন এভাবে বেনাপোল পৌরসভা কাজ করে গেলে আমাদের সহযোগিতা পাবে। আমরা অঙ্গিকার করছি এই পৌরসভাকে আরো গতিশীল ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যতটুটু সহযোগিতার প্রয়োজন ইউজি আইআইপি- থ্রি থেকে আমরা তা করব।
সভাপতির বক্তব্য মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমরা কম সামর্থ ও কম সময়ের মধ্যে হেরে যাওয়া পিছিয়ে গড়া মানুষকে নিয়ে বেনাপোল পৌরসভায় মানুষকে নিয়ে কাজ করে যতটা এগিয়ে গেছি বাংলাদেশের কোন পৌরসভা তা করতে পারেনি। আমরা এতটুকু করতে পেরেছি আমাদের স্বদিচ্ছা আন্তরিকতা ছিল তার জন্য এগোতে পেরেছি। ইউজি আই আই – থ্রি মানুষের জন্য কাজ কিভাবে করতে হয় তা আমাকে শিখিয়েছে। আমি সেই আঙ্গিকে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন বেনাপোল পৌরসভা ২০০৬ সালে গঠিত। এবং ২০১১ সালে প্রথম নির্বাচনের মেয়র আমি। এর আগে ইউজি আই আই- ২ আমাদের বেনাপোল পৌরসবাকে ২০১০ সালে পাইলট প্রকল্প হিসাবে হাতে নিয়েছিল। সেই থেকে ইউজি আই আইপি -২ সাথে চলা তার সাথে বসবাস । তাই আমি এই প্রকল্পকে লালন করি মনে প্রানে বিশ্বাস করি। এটা এমন একটি প্রকল্প যে প্রকল্প শুধু ইনফেকস্টার তৈরী করে না ব্যবহার করতে শেখায়। দির্ঘ মেয়াদী করতে শেখায় । এই প্রকল্প মানুষের লেন দেন এর স্বচ্ছতা পর্যন্ত শেখায়। এই প্রকল্প মানুষের মস্তিস্কের সৌন্দর্য গঠন করে। একজন অপুর্ন মানুষকে কি ভাবে কাজ করতে হয় তা শেখায়।
বেনাপোল পৌরষভায় নারী কর্নার থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে আজ সাড়ে ৪ হাজার নারী আত্ননির্ভরশীল হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এই পৌরসভার বুলিনা খাতুন ও শিউলি রানী দেকে শ্রেষ্ট আত্ননির্ভরশীল নারী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বেনাপোল পৌরসভা ষাটর্দ্ধো মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। যেখানে রয়েছে একটি স্বাস্থ্য কর্নার। এই প্রকল্প সরকার দেখে আজ সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই পৌরসভায় রয়েছে ছিন্নমুল ও পথ শিশুদের জন্য ’ সুযোগ পেলে মানুষ হবো ” ছিন্নমুল স্কুল।এছাড়া মুজিব বর্ষে এই পৌরসভায় আরো ৮ টি ওয়ার্ডে ৮ টি ছিন্নমুল স্কুল প্রতিষ্টিত হয়েছে। বেনাপোল একটি সীমান্ত লাগোয়া শহর। এখানে হাত বাড়ালে পাওয়া যায় মাদক। সেখানে মাদক একেবারে নয় খেলা ধুলায় মিলবে জয় এ শ্লোগান নিয়ে পুলিশ, বিজিবির সহযোগিতায় আজ ৯০ ভাগ মাদক কমাতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পৌর সভার একটি শ্লোগান যে একটি শিশু হেরে গেলে বেনাপোল হেরে যাবে। যার জন্য পৌরসভায় আইটি কর্নার হয়েছে। এখান থেকে কম্পিউটার শিখে অনেক ছেলে মেয়ে আজ নিজেরা স্বাবলম্বী। এখানে একটি ফ্রি ইংলিশ স্পিকিং কোর্স খোলা হয়েছে। এছাড়া গত দুই মাস আগে থেকে বিউটি পার্লার এর প্রশিক্ষন ও দেওয়া হচ্ছে। যাতে মেয়েরা স্বাবলম্বী হতে পারে।
ইউ জি আই আই পির সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার বি আর এম মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন , ইউ জি আই আই পির যে কাজ সে গুলো বেনাপোল পৌরসভা করে নজির স্থাপন করেছেন। আমরা এ ভাবে কাজ করলে বেনাপোল পৌরসভাকে আরো সহযোগিতা করব।
এডিডিব কনসালটেন্ড মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন , বেনাপোল পৌর মেয়র অত্যান্ত দক্ষতার সাথে বিচক্ষনতার সাথে যে ভাবে বেনাপোলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে তার সকল স্বপ্ন দ্রৃত বাস্তবায়ন হবে বলে আমি আশাবাদি।
প্রজেক্ট ডিরেক্টর রেজাউল ইসলাম ( ইউজি আই আই -২) বলেন সারা বাংলাদেশের ৩২৮ টি পৌর সভার মধ্যে বেনাপোল পৌরসভা অন্যতম। এই জনপদের জন্য আমরা কাজ করছি। এই অবহেলিত জনপদের উন্নয়ন হয়েছে মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায়।
বেনাপোল কাস্টমস এর অতিরিক্ত কমিশনার নেয়ামুল হোসেন বলেন, আমরা ষ্টক হোল্ডার হিসাবে এই পৌরসভায় কাজ করছি। তাতে বেনাপোল পৌরসভার যে কার্যক্রম দেখলাম তা দেখে আমি অভিভুত।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন আমি অনেক পৌরসভা দেখেছি কিন্তু এই পৌরসভার কাজ দেখে পৌরসভা মেয়র সহ সকলকে ধন্যবাদ জানচ্ছি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সহ টিএলসিসির সদস্যবৃন্দ।