সিলেট প্রতিনিধি:দিরাইয়ে উপজেলায় কান, গলা ও লিঙ্গ কেটে তুহিন (৬) নামে এক শিশুকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তার মরদেহ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে যায়। তুহিন উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া কেজাউড়া গ্রামের বছির মিয়ার ছেলে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা যায়, বছির মিয়ার ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। রোববার রাতে প্রতিদিনের মত খাওয়া দাওয়া শেষ করে পরিবারের সকল ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে শিশু তুহিন প্রসাব করার জন্য উঠলে তার মা বাহিরে প্রসাব করিয়ে তাকে ঘুম পড়িয়ে দেন। পরে রাত ৩ টার দিকে মা-বাবা হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তুহিন ঘরে নেই।
এরপর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে রক্ত দেখতে পান তারা। এরপর কিছু দুরে সুফিয়ান মোল্লার উঠানে মসজিদের পাশে গাছের নিকট ঝুলন্ত অবস্থায় শিশু তুহিনের মরদেহ দেখতে পান।
পুলিশ জানায়, পাষণ্ড খুনিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটির কান, গলা ও লিঙ্গ কেটে পাশবিক কায়দায় হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পাষণ্ড খুনিরা ঝুলন্ত অবস্থায় শিশুটির পেটে ধারালো দুটি চুরি ঢুকিয়ে রাখে।
এদিকে শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এলাকার লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছেন। কে বা কারা, কি কারণে এ শিশুকে পাশবিক কায়দায় হত্যা করেছে এ ব্যাপারে পুলিশ বা পরিবারের লোকজন এখনো কোন ধারণা করতে পারছেন না।
আর এ ঘটনায় প্রশাসন সহ সর্ব মহলে তোলপাড় চললে। এ ঘটনা তদন্তের ইতিমধ্যে পুলিশ ও গোয়ান্দো সংস্থা (ডিবি) কাজ করছে। অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিও ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
নিহত শিশুর পিতা আব্দুল বাছের মিয়ার বলেন, কি ভাবে আমার পাশ থেকে ছেলে কি নিয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমরা তেমন কারো সাথে শত্রুতা নেই। কি ভাবে কি হল বুঝতে পারছি না।
দিরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) রুপক কর্মকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিআইডিও আমাদের সাথে যোগ দিবে। আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলছি। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলা যাবে না।