ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন- এ নিয়ে শনিবার দিনভর ক্রিকেট অঙ্গনে চলে জোর আলোচনা।
সেদিন বিকেলেই আওয়ামী লীগের একটি দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, নড়াইল-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনছেন মাশরাফি। আর বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব মনোনয়ন কিনবেন মাগুরা-১ আসনের জন্য। তবে রাত গড়াতেই সাকিবের ইউটার্ন। সরে আসলেন সিদ্ধান্ত থেকে।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এবার বলছেন নির্বাচনে অংশ নেবেন না তিনি। সাকিবের ভাষ্য, ‘সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন করব না।’ কেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন তা অবশ্য জানাননি সাকিব। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গুঞ্জনটা শুরু হয়েছিল পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ঘোষণার পর থেকেই। এরপর থেকে একের পর এক ডালপালা ছড়িয়েছে সেই গুঞ্জনের। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ওই গুঞ্জনের ডালপালা আরও ছড়াতে থাকে।
দিনভর গুঞ্জনের পর বিকেলে জানা যায় সত্যিই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। বিষয়টি আওয়ামী লীগের একটি দলীয় সূত্র নিশ্চিত করে। ১১ নভেম্বর, রবিবার এই দুই তারকা ক্রিকেটারের মনোনয়ন ফরম কেনার কথা ছিল। কিন্তু রাতেই সাকিব তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
এদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি এখনো সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেননি। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে আসার কথা রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই ওয়ানডে অধিনায়কের।