ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে স্কুল, কলেজ , মাদ্রাসার শত শত কোমলমতি ছাত্র ছাত্রী ও জনসাধারন। এছাড়া ব্রিজ দিয়ে ছোট মাঝারি যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে অটোভ্যান, মোটরসাইকেল ও ব্যবসায়ীরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয়রা আরও জানান, দীর্ঘদিনেও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কার না করায় ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেক পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। জানা যায়, ব্রিজের ওপারে নটা ভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নটা ভাঙ্গা এবতেদায়ী মাদ্রাসা সান্তনা সরকার, শান্তি খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সলুয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা, সলুয়া উত্তরপাড়া নাদুরিয়া হাই স্কুলে এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ পারাপার হয়েই তাদের যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা জরুরী ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো:কামরুজ্জামান (কামরুল) বলেন, ব্রীজটি সংস্কারের উদ্যোগ কেউই নিচ্ছে না, যার ফলে স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। তাছাড়া বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকতে হয় গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের।
কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ জানান,নটা ভাঙ্গা খালের উপর জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি ২৫/৩০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রিজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।সম্প্রতি ব্রিজের উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে ছাড়া যে একটা অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি অথবা রাতে একটা বাইসাইকেল যেতে পারবে সেই অবস্থা নেই। গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের উপর দিয়ে ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ টি হাইস্কুল ও ১টি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সহ প্রতিদিন ৪/৫ হাজার লোক চলাচল করে।উপজেলা শহরে যেতে হলে অত্র অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রিজ। বৃহৎ এই অঞ্চলের কয়েক কয়েকশো হেক্টর জমির ফসল এই ব্রিজের উপর দিয়ে আনা নেওয়া করা হয়।এক বছর আগে বিশেষ বরাদ্দ চেয়ে এলজিইডিতে আবেদন করেছি।এখনো কোনো সুফল মেলেনি।
পাংশা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেন ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন উপর মহলের নির্দেশ আছে কোন সাক্ষাত্কার দেওয়া যাবে না। একপর্যায়ে তিনি বলেন, নতুন করে ব্রিজ করা সম্ভব না তবে ব্রিজটি সংস্কার করা হবে।
রাজবাড়ী এলজিইডি সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ওইখানে নতুন ব্রিজ কালভাট করার সুযোগ আছে।নতুন ডিপিপির তালিকা হচ্ছে সেখানে ওই ব্রিজটির নাম প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে।