রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদী থেকে ইজারা ছাড়াই অবাধে বালু উত্তোলন করছেন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এবং হুমকির মুখে পড়েছে এই বালু ঘাটের পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পাংশা উপজেলার কসবমাজাইল ইউনিয়নের বড়খোলা নামক স্থানের গড়াই নদী থেকে ইজারা ছাড়াই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব বালু বিভিন্ন বাহনের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।বেশিরভাগ বাহন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে যানা যায়, প্রতিদিন সূর্য উদয়ের পূর্ব থেকে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে শুরু হয় বালু উত্তলন, চলে সন্ধ্যা অব্দি।প্রতিদিন গড়ে কয়েকশত গাড়ি বালু উত্তলন করা হয়। তারা জানায় এলাকার বদিয়ার, তুহিন ও রফিকুল সহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এই বালু উত্তলনের সাথে জড়িত।
ট্রাক্টর চালকরা জানায়, তারা প্রতি ট্রাক্টর বালু নির্দিষ্ট দাম দিয়ে কিনে নেয়।এরপর বিভিন্ন এলাকায় প্রতি ট্রাক্টর বালু ৭০০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি করে তারা।
কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারিয়ার সুফল মাহামুদ বলেন, গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অন্যদিকে ফসলী জমি চাষের জন্য তৈরি ট্রাক্টর দিয়ে বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব ট্রাক্টর চালকের বেশিরভাগই অপ্রাপ্তবয়স্ক। অতিরিক্ত লোড দেওয়া ট্রাক্টর রাস্তা দিয়ে চলাচলের ফলে দ্রুত রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন,অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে এমন হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এই বিভাগের আরও খবর....