রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।প্রায় আড়াই লাখ জনগণের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে ৫০ কেভি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর থাকলেও তেলের জন্য তা বন্ধ থাকে।কোন কারণে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের ভিতরে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর প্রচুর ভীড়, তবে বিদ্যুৎ নেই।বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা কালবৈশাখী ঝড় শুরু হল বিদ্যুৎ চলে যায়। দীর্ঘ ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুটঘুটে অন্ধকারে রাত যাপন করতে হয়েছে।একজনের চেহারা আরেক জনের দেখার উপায় ছিলো না। গরমে পুরোই হাঁসপাস অবস্থা।
অন্যদিকে দেশে চলছে লোডশেডিংয়ের শিডিউল।ঘণ্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং থাকে প্রতিনিয়ত।এতে ভর্তি হওয়া রোগীদের চরম কষ্টে পার করতে হচ্ছে সময়। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভ্যাপসা গরমে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।দিনের বেলা কষ্টে দিন পার করলেও রাতে মোমবাতি অথবা মোবাইলের আলোয় অন্ধকার নিবারণ করতে হয়।
শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া ধীরেন্দ্রনাথ বসু বলেন, সারা রাত অন্ধকারে থাকতে হয়েছে। আমার শ্বাসকষ্ট বিদ্যুৎ না থাকায় গ্যাসও নিতে পারি নাই।সকালের খাবার ১২ টার পরে দিয়েছে। এতে পরে কেনো সকালের খাবার দেওয়া হলো জানতে চাইলে বলে বিদ্যুৎ না থাকায় খাবার তৈরি দেরি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাসির উদ্দীনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের হসপিটালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর। যার প্রতি ঘন্টায় ১১ লিটার তেল লাগে।ফলে দীর্ঘ সময় জেনারেটর চালানো হয় না। গুরুত্বপূর্ণ সময় শুধু জেনারেটর চালানো হয়। আমরা রুগীদের সময় মতো খাবার সরবরাহ করে থাকি।সকালের খাবার বেলা ১২ টায় দেওয়া হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসে নাই।আপনার মাধ্যমে আমি জানতে পারলাম।