রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ৩ এপ্রিল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রিও শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেই। কিন্তু কে কে দলীয় মনোনয়ন ফরম তোলছে সেদিকে নজর ছিল সবার। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করেন, ঈদের পরে নির্বাচনের মাঠ জমজমাট হয়ে উঠবে।
গত সোমবার এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম তোলেন বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও তাঁর চাচা রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন।
এছাড়াও নানা জল্পনার কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। এরপরও দলটির নেতাকর্মীরা তেমন সরব নন। তবে আলোচনা ছিল খায়রুজ্জামান লিটনের বিপক্ষে গিয়ে কে কে মনোনয়ন ফরম তোলছেন।
এদিকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলনে থাকা বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। এ কারণে সিটি নির্বাচন নিয়েও দলটির রাজশাহী নগরের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি অংশ নিচ্ছে না বলে ভোটারদের মধ্যেও নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। কোনো কোনো ওয়ার্ডে সম্ভাব্য অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তবে বর্তমান কাউন্সিলরদের কেউ নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনো কথা বলতে চাচ্ছেন না।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘বিএনপি নাই, তাই ভোট নিয়ে আলোচনাও নাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনে যাবেন না। এমনকি দলের কোনো কর্মীকেও নির্বাচনে অংশ নিতে দিব না। কেউ অংশ নিলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।