নানা প্রতিকূলতা ও সমালোচনার মধ্যেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন উপলক্ষ্যে রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, দেশে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা ও সমালোচনার মধ্যেও ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সিটি উপ-নির্বাচনে মেয়াদ যতই কম হোক না কেন তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। ঢাকা সিটিতে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকসহ যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা কোনো বিরূপ মন্তব্য করতে পারেনি। কারণ আপনাদের মধ্যে সততা ছিল। যে যাই বলুক না কেন অনেকে নেতিবাচক কথা বলবে। এখান থেকে যতটুকু দরকার করবেন গ্রহণ করবেন। নিজের মেধা ও নিরপেক্ষতা ও আস্থা সবচেয়ে বড় বিষয়।
নিজের যোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রির্টানিং ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সিইসি।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনানুগ নির্বাচন করার প্রত্যাশা ইসির। কোনোভাবেই নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা চায় না। নির্লিপ্ততা ও অতি উৎসাহী না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ভোটে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইসির ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কাজ করবেন না। সততা দক্ষতার সঙ্গে কোনো প্রলোভনে না পরে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদত হোসেন বলেন, ভোটে কোনো প্রকার অনিয়মের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সবাইকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনোভাবেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আসন্ন সিটি নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তারা অনেকেই বেশ অভিজ্ঞ। ইতোপূর্বেও তারা নির্বাচনে কাজ করেছেন। আপনাদের যা প্রয়োজন হবে সে ব্যবস্থা করবে কমিশন। তবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি মেয়রের শূন্য পদে স্থগিতকৃত নির্বাচন, উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে স্থগিতকৃত নির্বাচন এবং উত্তর সিটির ৯ ও ২১ নং সাধরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের শূন্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।